অদ্য ১৩ মে দুপুর ১২ টায় হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়ন এর দশমাইল হাইওয়ে থানার উদ্যোগে ফতেজংপুর মহাবিদ্যালয় চিরিরবন্দর দিনাজপুরে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ” রোড সেফটি এবং সড়ক দুর্ঘটনা ‘ সংক্রান্তে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রজেক্টর এর মাধ্যমে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তিনি দেখান যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর বাংলাদেশে গড়ে সাড়ে সাত হাজার থেকে আট হাজার লোক মারা যায়। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ তরুণ এবং শিক্ষার্থী। তিনি বলেন যে সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হচ্ছে গাড়ির চালকদের যথাযথভাবে ট্রাফিক আইন না মানা, মহাসড়কে অটোরিক্সা চালানো এবং রাস্তা পারাপারে অসাবধানতা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, আইন না মেনে মোটরসাইকেল চালানো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী এবং পথচারীদের অসচেতনতা। তিনি শিক্ষার্থীদের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। তিনি তথ্য প্রদান করেন যে সড়ক দুর্ঘটনার এক তৃতীয়াংশ ঘটে মোটরসাইকেলে এবং মোট নিহত হওয়ার এক তৃতীয়াংশেরও অধিক হচ্ছে মোটরসাইকেলের আরোহী। তাই তিনি এই শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেল চালানোতে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দেন।

তরুণ শিক্ষার্থীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে এবং ১৮ বছর না হলে মোটরসাইকেল চালনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের তৎপর আছে। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না এ কথাটি মনে রেখে তিনি শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে এবং রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ব্রিফ করেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। অতঃপর তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দশ মাইল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক ,,এবং কলেজের অধ্যক্ষ বিনয় কুমার রায় । উক্ত অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা এবং শিক্ষকগণ হাইওয়ে পুলিশের এই ধরনের সচেতনতা মূলক কাজ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। সবশেষে ছাত্রছাত্রীরা বলেন বলেন একটি নিরাপদ মহাসড়ক তৈরিতে শিক্ষার্থীরা হাইওয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবে এবং ভবিষ্যতে তারা আইন মেনে চলবে।