মাহফুজুল হক পিয়াস, ইবি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তঃসেশন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত হাতাহাতির সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জিয়া পরিষদ, ইবি শাখা। একইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গত শনিবার অর্থনীতি বিভাগের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। শিক্ষাঙ্গনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া শুধু দুঃখজনকই নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই ঘটনা সহ বিভিন্ন মহলের নানাবিধ অপতৎপরতায় সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। দুঃখজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সর্বক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রিতা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।”
জিয়া পরিষদ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিন সাংবাদিককে মারধর করা হয়। এছাড়াও এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান, রিয়াজ মোর্শেদ, সৌরভ দত্ত, সাব্বির, মিনহাজ, সৌরভ সোহাগ, পান্না এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অজিল, সাইফুল, রাকিব, মশিউর ও হৃদয়সহ ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে।