সমাপ্তী খান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ভালোবাসা সবসময় ভাষায় প্রকাশ পায় না—কখনো তা চোখের জল, হাসি কিংবা নিঃশব্দ উপস্থিতিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে। বাবার ভালোবাসাও ঠিক তেমন, যা হয়তো মুখে বলা হয় না, কিন্তু প্রতিটি কাজে নিঃস্বার্থভাবে প্রকাশিত হয়। বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বাবাকে ঘিরে তাদের অনুভূতি ও স্মৃতিগুলো তুলে ধরা হলো।
🟢 “বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো”
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না মুন্নি বলেন, “বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো। যখন হাঁটতেও পারিনি, তখনও তিনি আমার পথ দেখিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পর্যন্ত প্রতিটি বাঁকে তার ছায়া পেয়েছি। তিনি মুখে কিছু না বললেও প্রতিটি কাজে লুকিয়ে থাকে তার ভালোবাসা, যা আমার জীবনের মূল শক্তি।”
🟢 “বাবা আমার ছায়ার মতো সঙ্গী”
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর মাহফুজারা রহমান বলেন, “আমার বাবা আবেগপ্রবণ নন। কিন্তু যখন দরকার, তিনি ঠিক পেছনে ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। তার নীরব উপস্থিতি, সিদ্ধান্ত আর নির্ভরতা আমার আত্মবিশ্বাসের বড় উৎস। ভালোবাসা সবসময় শব্দে হয় না—তার জীবনই সেটার প্রমাণ।”
🟢 “বাবা আমার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিবুল বাপ্পি বলেন, “জীবনে যতবার হেরেছি, বাবার মুখ মনে করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। তিনি অল্প কথায় সাহস দেন, বলেন—‘তুই পারবি।’ সেই নির্ভরতাই আমাকে প্রতিটি চ্যালেঞ্জে সাহসী করেছে। তিনি আমার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি।”
🟢 “বাবা আমার প্রথম শিক্ষক”
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মো. ইথারুল ইসলাম বলেন, “বাবা শুধু অভিভাবক নন, তিনি আমার জীবনের প্রথম শিক্ষকও। শিখিয়েছেন দায়িত্ব নিতে, সম্মান করতে, মানুষ হতে। ছোটবেলার শাসনে লুকানো ভালোবাসার গভীরতা এখন বুঝি। তার কাছ থেকেই আমি জীবনের প্রকৃত মূল্যবোধ শিখেছি।”
বিশ্ব বাবা দিবস কেবল একটি আনুষ্ঠানিক দিন নয়, বরং প্রতিদিনের নিঃশব্দ ভালোবাসা, নিরব আত্মত্যাগ আর সন্তানের জন্য অদৃশ্য আশ্রয়ের প্রতীক। শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উঠে আসে সেই অনুভূতি—“বাবা শুধু সম্পর্ক নয়, তিনি সাহস, নিরাপত্তা, আদর্শ আর জীবনের বটবৃক্ষ”।