আবু হাসনাত তুহিন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নতুন সৃষ্ট পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “২০২০ সালে প্রণীত অর্গানোগ্রাম এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে করে হাজারো মাৎস্যবিজ্ঞান গ্র্যাজুয়েট সরকারি চাকরির ন্যূনতম সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।”
তারা আরও জানান, চার বছর পরিশ্রম করে অর্জিত ডিগ্রি যেন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। পটুয়াখালীর মতো দূরবর্তী অঞ্চল থেকে তারা দক্ষতা অর্জন করলেও সরকারি কাঠামোতে নেই কোনো সুসংগঠিত পেশাগত অবস্থান।
স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মুশফিক রিফাত বলেন, “আমরা এই খাতে বিশেষায়িত হয়েছি দেশের মৎস্যসম্পদ, পুষ্টি ও অর্থনীতিতে অবদান রাখার প্রত্যাশায়। কিন্তু বাস্তবায়নহীন অর্গানোগ্রামের কারণে আমরা হতাশ।”
ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোহাইমিন আজিম তাসিন ও ইত্তেজা সাবাব বলেন, “দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি উন্নয়নে মাৎস্যবিজ্ঞানীদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হলে চাকরির যথাযথ সুযোগ ও বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারণ জরুরি।”
প্রধান অতিথি হিসেবে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের জন্য নয়, দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার কথা বলেছে—এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সরকারের উচ্চপর্যায়ে গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি উপস্থাপন করবে।”
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “এটি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সাজেদুল হক বলেন, “যথাযথ পদ সৃষ্টি না হলে বিশেষায়িত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমে যাবে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।”
মানববন্ধনে আয়োজকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, দ্রুত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও নতুন পদে নিয়োগের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনাময় মৎস্য খাতকে অবহেলার হাত থেকে রক্ষা করা হোক।