কলেজ প্রতিনিধি।
আজ ১৯ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০ টায় কলেজ মাঠে আয়োজিত হয় বিজ্ঞান মেলা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিস্ময়কর সম্ভাবনাকে সামনে রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো পালন করা হলো বিজ্ঞান মেলা।শিক্ষার্থীদের নানা উদ্বোধনের প্রকল্প গবেষণা ও সৃজনশীল প্রদর্শনীতে মেলাটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত শিক্ষাঙ্গনে।
এবার বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ সহ তেজগাঁও কলেজ ও খিলগাঁও সরকারি কলেজ । এবং অংশগ্রহণ নিয়েছে, রসায়ন বিভাগ উদ্ভিদ বিভাগ প্রানিবিদ্যা বিভাগ গনিত বিভাগ ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ সহ মোট ছয়টি বিভাগ ও ২০টি স্টল । মেলায় ছিল বায়োপ্লাস্টিক উৎপাদনের কৌশল এসিড বৃষ্টি ব্যবহার গণিতের ফর্মুলা আবর্জনা দিয়ে তৈরি বিদ্যুৎ আধুনিক মিশ্র কৃষি পদ্ধতি ও নিরাপদ পানি নিরাপদ জীবন ।
বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আধ্যাপক ড.এ কে এম আক্তার হোসেন তিনি বলেন,জুলাই ও আগস্ট মাসে আমাদের অনেক ছাত্র নিহত হয়েছেন।আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের এই উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে আমি আমার নিজের শিক্ষা জীবনের কথা মনে পরেছে। আমি সবসময় বিজ্ঞানকে একটা অসন্ধানের অনুসন্ধান মনে করেছে এটা একটা অজানার প্রতি আকর্ষণ কৌতূহল ও অধ্যাবস্যার উপর নির্মিত।তিনি বলেন আমি আমার শিক্ষা জীবন শুরু করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুপার কন্টেবিলিটি ধারা। তিনি আরও বলেন সুপার কন্টেবিলিটি গবেষণা করার উদ্দেশ্য ছিল আপনি আপনার এনার্জিকে পুরোপুরি ইউটিলাইজ করতে পারেবেন কি না তা জানা। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনীর চেতনা ও গবেষণার প্রতি উৎসাহিত করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আধ্যাপক মুহাম্মদ হায়দার মিঞা।
আহ্বায়ক ছিলেন, আধ্যাপক ড. মো শরীফুল আলম এবং সভাপতি আধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধান শিক্ষকবৃন্দরা । তারা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করেন এবং বলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্বোধনী প্রয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।
মেলা দেখতে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, এটা আমাদের প্রথম বিজ্ঞানমেলা হওয়া আমাদের অনেক ভালো লাগছে। বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে আমরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি যেমন অ্যাসিড বৃষ্টি বায়োপ্লাস্টিক নিরাপদ পানি নিরাপদ জীবন ফেলে রাখা জিনিস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি এই ক্ষেত্রে এইগুলো বিষয় নিয়ে আমরা যদি গবেষণা করি তাহলে দেশ আমাদের অনেক দূরে এগিয়ে যাবে। আমরা চাই প্রতিবছর এমন বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হোক।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন , এই বিজ্ঞানমেলা আয়োজিতের কারণে আমাদের মধ্যে অনেক সৃজনশীলতা এবং উদ্দীপণতা বৃদ্ধি পেয়েছে । এই মেলার কারণে আমার বাংলাদেশের যে সমস্যাগুলো হয় তা বিজ্ঞানের মাধ্যমে কিভাবে সমাধান করা যাবে এবং শাস্ত্রই হবে সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।
বিজ্ঞানমেলা শুধু প্রদর্শনীয় জায়গা নয় এটিই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশাল শিক্ষার ক্ষেত্র। তাদের নতুন নতুন ভাবনা ও উদ্বোধনের ভবিষ্যতের উন্নয়নের চাবিকাঠি। এই আয়োজন এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা আরো এগিয়ে যাবে বলে মনে করা যায়।