দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ‘ইউনিভার্সিটি’ চত্বরে স্থাপিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দিকনির্দেশক স্মারক যুদ্ধবিমানটি পুনরায় স্থাপিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর বিমান বাহিনী সদর দপ্তর কতৃক প্রেরিত পত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন।
বরিশাল-কুয়াকাটা এবং বরিশাল- বাউফল এই দুই সড়কের সংযোগস্থলে থেকে এফ-৬ মডেলের ‘যুদ্ধবিমান’ নির্দেশনা দেবে ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের’ দিকে। এটি হবে এখন বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের মূল আকর্ষণ।
পবিপ্রবি’র মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম গত বছরে উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরপরই বিমানটি

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ‘ইউনিভার্সিটি’ চত্বরে পুনরায় স্থাপনের জন্য সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন।
উপাচার্যের অনুরোধে এবং সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গতকাল বিমানবাহিনী কতৃপক্ষ একটি পত্রের মাধ্যমে অকেজো (Phased Out) F6 বিমান (ক্রমিক নম্বর-৪১২৫) পুনরায় স্থাপনের সিদ্ধান্তর খবর জানান। এ খবরটি ক্যাম্পাসে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে পৌছালে তারা সবাই আনন্দে আপ্লুত হন এবং বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ সহ সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২০০৩ সালে উক্ত অকেজো (Phased Out) F6 বিমানটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উপহার দেয় বিমান বাহিনী। পরে সেটি বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক এলাকায় দিকনির্দেশক হিসেবে স্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ৬ মার্চ (শনিবার) সন্ধ্যায় লেবুখালী নদীর ওপরে পায়রা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে নিয়োজিত মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে পায়রা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা এটি ভেঙে ফেলেছিল। তখন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয়রা।