পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
সাড়া বাংলাদেশে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির দাবিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্য বলেন,” ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড” এবং সরকারকে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ডের আইন পাশের অনুরোধ জানান।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে দুপুর ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময়ের ধর্ষণের শিকার মা বোনদের বর্ণনা তুলে ধরেন এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ধর্ষকদের শাস্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীরা দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ধর্ষকদের শাস্তির বিষয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে এবং সকল শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আরজানা ইয়াসিন কামিনী বলেন, সাড়া বাংলাদেশে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে নিরাপদে ফিরবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় থাকি। দেশের প্রশাসনের কাছে দাবি ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে এবং ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
গণিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাব্বির ইফতেখার সাকিব বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি। কখনও বাস ডাকাতি করতে এসে আমার মা-বোনদের ধর্ষণ, কখনো একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য ফুল কুড়াতে গিয়ে ছোট বোন ধর্ষণ। কখনো বেড়াতে গিয়ে আমার বোন ধর্ষণ। চারিদিকে শুধু ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়। কিন্তু ধর্ষকদের কোন শাস্তির বিষয়ে জানা যায় না। আমাদের দাবি ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, চব্বিশে দেশটা নতুন করে স্বাধীন হলেও আমরা এখনো পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছিনা। আমরা তখনই স্বাধীনতা পাবো যখন আমরা নিরাপদে চলতে পারবো। শিক্ষার্থীরা দেশের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আপনারা যদি ধর্ষকদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দিতে ব্যর্থ হন তাহলে দেশের জনগণ মবের দিকে যেতে বাধ্য হবে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই খুলনায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ, পদ্মার চড়ে নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ, রাজধানীর লালবাগে এক তরুণীকে ধর্ষণ, শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণসহ আরও অনেকগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।