সম্প্রতি ঢাকা আদালতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে মামলা শুনানি চলছিল। তবে, আদালতে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বিচারক বিব্রত প্রকাশ করেন এবং মামলাটি অন্য একটি ঊর্ধ্বতন আদালতে বদলির আদেশ দেন।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান সোমবার মামলার শুনানি প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি প্রকাশ করেন। শুনানির জন্য নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হলেও তাদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে ছিল বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ।
এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী পূর্বে বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনা করেছেন এবং আইনের অধীনে তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জানান, উভয় পক্ষই তাদের আবেদন করার অধিকার রাখে এবং এই আদালতের ওপর চাপ রয়েছে। বিচারক জানান, এই মামলার শুনানি করতে যথেষ্ট ধৈর্যের প্রয়োজন, তবে আদালতে এত সময় নেই, ফলে অন্যান্য মামলার ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। এর পর বিচারক জানান, “আমি আসলে বিব্রতবোধ করছি, তাই মামলাটি অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
আইনজীবীরা মামলার স্থান বদলির বিষয়ে কোনো আপত্তি না জানালে, আদালত মামলাটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু করার আদেশ দেন। এরপর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চলে এবং আদালত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে।
এছাড়াও, নাসির হোসেনের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের আইনজীবী রিভিশন দাখিল করলে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ রিভিশন আবেদনটি খারিজ করে দেন এবং মামলার বিচার চলতে থাকে।
মামলাটি ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে দায়ের করেন।