সিলেট ব্যুরো:- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ একলিম আবেদিন (৫৩), প্রধান নিরাপত্তা মনিটরিং সুপারভাইজার রুহেল মিয়া (৫০) ও জাহিদুল ইসলাম সুহেল (৫২) গংদের আসামী করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটে মামলা দায়ের করেছেন সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা সুপারভাইজার মোঃ আনসার আলী। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নিবাসী মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৮ জুলাই উপরোক্ত বিবাদীগনের যোগসাজশে একখানা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ গ্রহণ করে। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর উল্লখিত বিবাদীগন আরেকটি চুক্তিনামার মাধ্যমে ধোপাদিঘির পাড়ে ওয়াকওয়ে লিজ দেয়ার কথা বলে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আনসার আলী উল্লেখিত টাকা ফেরত চাইলে বিবাদীরা গত ২৩ জানুয়ারী বিবাদী মোঃ রুহেল মিয়ার নামীয় মোবাইল ০১৭১২ ১৪২১৭৭ নাম্বার থেকে বাদীর বিকাশ নাম্বারে ১ হাজার ৫শত টাকা পাঠায়।
বাকী টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তারা মামলা মোকদ্দমা দেয়ার কথা বলে উল্টো হুমকী দেয় এবং গত ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিবাদীগন বাদী আনসার আলীর ডিউটি বন্ধ করে দেয়। আনসার আলী বিষয়টি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান এবং গত ৯ ফেব্রুয়ারী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এর কাছেও একখানা লিখিত অভিযোগ দেন।
সিটি কর্পোরপশন থেকে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আনসার আলী গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। টাকা ফেরত না পেয়ে এবং ডিউটি করার সুযোগ না দেয়ায় বাদী আনসার আলী নিরুপায় হয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং সদর সিআর ৩১২/২৫। উল্ল্যেখ্য যে মোঃ একলিম আবেদিনের বিরুদ্ধে গত ৪ আগষ্টের হামলার ঘটনায় আরো মামলা রায়েছে।
মামলা দায়েরের পর থেকে মোবাইলে বাদীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী-ধামকী দেয়া হচ্ছে এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ডিউটি করারও সুযোগ দেয়া হচ্ছেনা বলেও বাদী আনসার আলী জানান।বর্তমানে বাদী নিজে ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।