জাবেদ শেখ, শরীয়তপুর প্রতিনিধি।
শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে রমজান মাসেও পেশকারকে চা-পানি খেতে দিতে হয় ঘুষ।
১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা ২৫ মিনিটের সময় শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার মডেরহাট এলাকার আব্দুল মজিদ হাওলাদার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল মামলার ভুক্তভোগী। তিনি এবং তার মেয়ে সমতুল্য এক নারী আজ আদালতে এসেছে মামলায় আপস হতে। আদালতের কাজ শেষে রাস্তায় বেড় হলে ভুক্তভোগী মজিদ হাওলাদারকে জিঙ্গাসা করা হয়,আদালতের সেবা নিতে কাওকে টাকা দিতে হয়েছে কি না? প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আদালতে এসে কাওকে টাকা দিতে হয় নাই। আমরা আপোষ হয়ে গেছি। শুধু পেশকারকে চা-পানি খাওয়ার জন্য ২০০ টাকা দিছি। মুরব্বির সাথে আসা এক নারী বলেন, পেশকারের উকিল,খাড়া করে নাই। উকিলের বায়নার টাকা পেশকার নিছে ।

এবিষয়ে পেশকার শাহিন আলম বলেন,আমারা কোন টাকা পয়সা নেই না,কিছুই নেই না। এ-ই বলে মেবাইল ফোন কেটে দেন।
এ-ই ঘটনাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানকে জানালে তিনি মামলার নাম্বার চান এবং একটি লেখিত অভিযোগ করতে বলেন।
এ-ই পেশকার শাহিন সম্পর্কে উকিল ও মহুরি সূত্রে জানাযায়, জেলা আ.লীগের নেতা ও বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলামের ভাগিনা পেশকার শাহিন আলম। মামার পাওয়ার দেখিয়ে এতোদিন চলেছে। মানুষকে তিনি মানুষ মনে করে না।
নারী শিশু আদলতে তিনি ২হাজার টাকার নিচে জামিননামা দেন না। ১হাজার টাকার নিচে সে ঘুষ নেন না। তাদের শেষ কথা শাহিন আর মনসুর নামের দুই পেশকার কোর্টের ভেতর সবচেয়ে বেশি খারাপ।
এবিষয়ে শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মাদ কামরুল হাসান বলেন, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তারা কোন অনিয়ম করতে দেবে না। তারা অনিয়ম করবে না। এবং আমাদের সাথে মাননীয় জেলা জাজ মহোদয় এবং চিফ জুডিশিয়াল তারাও একমত পোষণ করেছে। তারাও বলেছে কোন রকম অনিয়ম হতে দিবে না। এখন এরকম কেউ যদি করে থাকে। সেটা তদন্ত হতে পারে। যদি কেউ-অনিয়ম করে, তার বিচার হতে পারে।
ঘুষ বলা বকশিস এটা নেয়া সম্পুর্ন অবৈধ। নীতি বহির্ভূত, ফৌজদারি অপরাধ। আমরা চাই সবাই সুন্দর ভাবে চলুক।কেউ যাতে অনিয়মের সাথে না জড়াক এইটাই আমি প্রত্যাশা করি।