লালমোহাম্মদ কিবরিয়া :
শেরপুর নালিতাবাড়ীর বুক চিরে প্রবাহিত ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী। নদী দুটি নেমে এসেছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গহীন পাহাড়ের ঝর্নাগুলো থেকে। শেরপুর জেলা প্রশাসন চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর কিছু অংশ বালু মহাল হিসেবে। ইজারা দিয়ে থাকেন।
বালু মহাল ইজারার সুবাধে নদীর নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের বৈধতা রয়েছে।কিন্ত; দেখা যায় বালু ব্যবসায়ীরা ইজারা বহির্ভুত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে।
উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ভুমি তহশীল অফিস অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে অভিযান পরিচালনা করে সেলুচালিত ড্রেজার, মাচা ও পাইপ ধ্বংস সহ জেল জরিমানা করেও বালু খেকু ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়। অভিয়ান চালানোর পরও রাতের আধাঁরে সঙ্গোপনে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে।
বর্তমানে নদীর তলদেশ সহ নদীর তীর ভেঙ্গে বালু উত্তোলন করে দুটি নদীর তীর করেছে ক্ষত-বিক্ষত। এমন কি নদী ছাড়া সীমান্তএলাকায় পাহাড়ের ঝর্না সহ যেখানে বালু সেখান থেকেই বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন দিনে রাতে অভিযান পরিচালনা করে জেল জড়িমানা করেও কিছুতেই ধমাতে পারছে না।
১১ মার্চ (মঙ্গলবার নালিতাবাড়ির উপজেলা প্রশাসন চেল্লাখালী নদীতে বুরুংগা ব্রীজ এলাকায় নদীর পাড় ভেংগে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি)
মঙ্গলবার ১১ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ অনুসারে ৮৫ টি ড্রেজার মেশিন, হাজার হাজার ফিট পাইপ ও অন্যান্য বালু উত্তোলন সরঞ্জামাদি অপসারণ করেন।
বালু উত্তোলনে জড়িত ১ ব্যক্তিকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
২০ টি বালুর মাচা ধ্বংস করেন।
অভিযানে সহায়তা করেন বিজিবি এবং আনসার ব্যাটালিয়ন এর সদস্য, এসিল্যান্ড অফিসের স্টাফবৃন্দ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গন।