সিলেট ব্যুরো:-
সিলেটের বিশ্বনাথে হঠাৎ মধ্যরাতে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন ডাকাত আতঙ্কে পাহারা বসান। সেই সাথে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কড়া নজরদারিও চলে। প্রত্যেকটি গাড়ি আটকিয়ে তল্লাশী করা হয়। বাড়ানো হয় টহল।
স্হানীয় সুত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) মধ্যরাতে হঠাৎ খবর পাওয়া যায় একটি লাইটেস নিয়ে কয়েকজন ডাকাত ঢুকছে। এই খবর মুহুর্তের মধ্যে চাউর হয়ে যায়৷ এলাকার লোকজন ডাকাত প্রতিহত করতে তৎপর হয়ে উঠেন। সেই সাথে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ তাদের টহল জোরদার করেন এবং রাস্তায় চলাচলকারি সকল গাড়ি তল্লাশী কর হয়। তবে কোথাও কোন ডাকাতি সংঘটিত বা ডাকাত আটকের খবর পাওয়া যায়নি। ডাকাত আসার খবরে এলাকার সবার মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোটা নিয়ে সবাই পাহারা বসান৷ এসময় বিশ্বনাথ থানা পুলিশও টহল জোরদার করেন। সেই সাথে চলে তল্লাশী। ডাকাত আতঙ্কে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, আমাদের কাছে তথ্য ছিল একটি ডাকাতদল বিশ্বনাথে ডাকাতি করার জন্য ঢুকছে। আমরা সাথে সাথে এলাকায় বিষয়টি জানিয়ে দেই। তিনি বলেন, ডাকাত আতঙ্কের খবর শুনে ঘটনাস্হলে আসেন পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তবে এখনও কোন ডাকাতকে আটক বা সনাক্ত করা যায়নি। তবে ভোর পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতা থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে গোলাপগঞ্জের হিলালপুর নামক স্হান থেকে দুই ডাকাত গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) মধ্যরাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। স্হনাীয় সুত্র ও গনমাধ্যমকর্মীর বরাতে জানা যায়, হেতিমগঞ্জের মসকাপুর এলাকায় ডাকাত ঢুকছে এমন খবর গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পারে। সাথে সাথে এলাকার লোকজন নিয়ে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ ডাকাতদের ধাওয়া করে হিলালপুর থেকে আটক করে।
তবে তাদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, কালো রংয়ের প্রাইভেট কার নিয়ে ডাকাতরা ডাকাতি করতে আসে। খবর পেয়ে স্হানীয় লোকজনের সহায়তায় কারটি আটক করা হয়। এসময় কারের ভিতরে থাকা দুইজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে ডাকাতদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।