নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের জাদুকাটা নদী থেকে চুরি করা খনিজ বালি বোঝাই একটি ট্রলারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি পুলিশের লোক দেখানো অভিযান—মূলত প্রভাবশালী বালিখেকো চক্রকে রক্ষা করতেই ‘আইওয়াশ’ চলছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—তাহিরপুর উপজেলার সোহালা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন এবং পার্শ্ববর্তী কোনাটছড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে ইজারা বিহীন জাদুকাটা নদী থেকে চুরি করা প্রায় ৪০০ ঘনফুট খনিজ বালি বোঝাই একটি ইঞ্জিনচালিত স্টিল বডির ট্রলার ফাজিলপুরের গড়েরঘাট এলাকা থেকে জব্দ করা হয়। পরে বালি চুরির অভিযোগে তাহিরপুর থানায় পুলিশ নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
‘চোখে ধুলা’ অভিযানের অভিযোগ স্থানীয়দের
জাদুকাটা নদীর তীরবর্তী স্থানীয়দের অভিযোগ,
“নিয়মিত রাতের অন্ধকারে কোটি কোটি টাকার খনিজ বালি ও পাথর চুরি হচ্ছে। এসবের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী মহল জড়িত। কালে ভদ্রে যেসব অভিযান চালানো হয়, তা মূলত লোক দেখানো—আইওয়াশ মাত্র।”
স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই যাচ্ছে। পুলিশ বালু চুরির ঘটনায় মূলহোতাদের বাদ দিয়ে ‘নিম্নস্তরের দুবৃক্তদের’ ধরেই দায়িত্ব শেষ করছে।
তদন্ত ও নজরদারির দাবি
স্থানীয়রা জাদুকাটা নদীর বালু-পাথর সম্পদ রক্ষায় একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা গঠনের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা জড়িত চক্র, রাজনৈতিক আশ্রয়দাতা ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।