মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: ঝিকরগাছার সাবেক এসিল্যান্ড কাজী নাজিব হাসানকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা মেরে আহতের মামলায় দুই আসামিকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। সোমবার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, ঝিকরগাছার বেনেয়ালী গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল শাকিল ও কৃষ্ণনগর মন্দির পাড়ার মৃত রতন কুমার দাসের ছেলে সুব্রত দাস অমিত।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৯ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর রজনীগন্ধা কোল্ড স্টোরেজের সামনের সড়কে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছিলেন তৎকালীন এসিল্যান্ড কাজী নাজিব হাসান। এ সময় বেনাপোলের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেলকে থামানোর জন্য সংকেত দেয়া হয়। তখন চালক মোটরসাইকেল না থামিয়ে এসিল্যান্ড কাজী নাজিব হাসানকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কাজী নাজিব হাসান গুরুতর আহত হন। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় মোটরসাইকেলে থাকা দুইজন আরোহীর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল শাকিলকে আটক করা হয়। আহত এসিল্যান্ড কাজী নাজিব হাসানকে যশোরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শাহাজালাল বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ৩০ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করেন।
ওই মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুল্লাহ আল শাকিল ও সুব্রত দাস অমিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদেরকে ৩৩৩ ধারায় ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৩৮ ধারায় প্রত্যেকেকে ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায়ে সাজা সাজা পর্যায়ক্রমে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করায় আসামিদের ৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগারে আটক আছে।