নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, তার স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনী এবং দুই কন্যা আনিকা ফারিহা জামান ও মাইশা সামিহা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মোজাম্মিল হক।
আবেদনে বলা হয়, খায়রুজ্জামান লিটন এবং ছয় সংসদীয় আসনের সাবেক আট সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ফেলে আত্মগোপনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এই অভিযোগ অনুসন্ধানকালে লিটন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য মিলেছে।
তারা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। অভিযুক্তরা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হতে পারে জানিয়ে আবেদনে বলা হয়, এজন্য তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার।
জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছেলে লিটন ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন।
১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পরাজিত হন।
লিটন ২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। পরে ২০১৮ ও ২০২৩ সালে তিনি একই পদে জয়ের মুখ দেখেন।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্যান্য নগর সংস্থার মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে লিটন অপসারিত হন।
তিনি ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। তার স্ত্রী রেনী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।