মনির হোসেন, বেনাপোল:
যশোরের শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী লিটন হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার
আসামিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকাল পর্যন্ত ঢাকার বিমানবন্দর ও তুরাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হলেন মামলার ১ নম্বর আসামি শার্শার দুর্গাপুর গ্রামের সেলিম মিয়া, তার বাবা মোমিন মিয়া, একই গ্রামের রমজান আলী এবং আক্তার হোসেন। তাদের কাছথেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলো, এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটন হোসেনের (৩০) ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। ধারালো দা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। লিটনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় লিটনের বাবা আজগর আলী বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ।
ডিবি জানায়, ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভূঞার নেতৃত্বে এসআই রাজেশ কুমার দাশ, এসআই কামাল হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখ আশরাফুল আলমের সমন্বয়ে একটি টিম ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সেলিমকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে তুরাগ এলাকার একটি কবরস্থানের পাশ থেকে বাকিদের আটক করা হয়। তারা সকলেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া রমজান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পুলিশ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ চারজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। তারা হলেন, আজগর আলী, শমসের আলী, শামসুর হক ও ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আব্দুল হক মিয়া।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম রবিউল ইসলাম জানান,লিটন হত্যার মোট আটজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। আটক আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।