স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারায় সজিরন খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া সরদার (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (০৯ এপ্রিল) রাতে তাকে পাবনা সদরের মালিগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জিয়া সরদার সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের ইসাহাক সরদারের ছেলে।
আর নিহত সজিরন খাতুন একই উপজেলার পশ্চিম চর বলরামপুর গ্রামের মৃত হেকমত আলী প্রামানিকের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন এবং তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ৩১ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের বিআরএস ইটভাটার মধ্যে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। উক্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ দিন রাত দশটার দিকে পশ্চিম চর বলরামপুর নামক এলাকায় গৃহবধূ সজিরন খাতুনকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।
পরিবারের লোকজন আহত সজিরন খাতুনকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সজিরন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল গফুর প্রামানিক বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০১। মামলায় জিয়া সরদারকে প্রধান আসামি করা সহ ২০ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
মামলার পর আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাব-১২ পাবনা এর আভিযানিক দল। পরে র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইং এর সহায়তায় বুধবার রাতে পাবনা সদরের মালিগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া সরদার কে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান আরো জানান, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখান থেকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।