হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো শুনানির দিনে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের আইনজীবীর ওপর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। শুনানির একপর্যায়ে হাজী সেলিম হঠাৎ তার আইনজীবীর ওপর ক্ষেপে ওঠেন এবং ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে আইনজীবীর বারবার অনুরোধ ও বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করতে রাজি হন। তার আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, “আমার মক্কেল বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি কারাগারে ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না, খেতেও পারছেন না। এ কারণে হতাশা থেকে তিনি রেগে গিয়েছিলেন এবং ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ বোঝানোর পর তিনি রাজি হন। আমি তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই।”
আইনজীবী আরও জানান, হাজী সেলিমকে এখন পর্যন্ত ১৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং একাধিক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।
হত্যা মামলার পটভূমিতে জানা যায়, গত বছরের ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার ফুটওভার ব্রিজের নিচে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন ছাত্রনেতা সাজেদুর রহমান ওমর। ওই সময় বিক্ষোভ চলাকালে সশস্ত্র হামলার শিকার হন তিনি এবং মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ আগস্ট তিনি মারা যান। এরপর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়, যার এক পর্যায়ে হাজী সেলিমকে অভিযুক্ত করা হয়।
এই মামলায় আজ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।