সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদের গেটে ডিবি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাহেল হোসেনসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী,গত ২০ মার্চ রাতে সরকার বিরোধী বৈঠকের খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পর পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ইউনিয়ন পরিষদের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং ব্যবহৃত একটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।
ঘটনার পাঁচদিন পর ২৫ মার্চ মঙ্গলবার, মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই এএইচএম মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে রাজনগর থানায় (মামলা নম্বর-৮) এজাহার দায়ের করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান রাহেল হোসেনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান রাহেল হোসেন এ ঘটনায় সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন,“ঘটনার দিন ইউনিয়নে একটি সালিশি বৈঠক চলছিল। পুলিশ উপস্থিত হলে উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আমি পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা করি। কেউ যেন ক্ষতি না করে,তাই একজন গ্রাম পুলিশ গেইট তালা লাগিয়ে দেয়। পরে প্যানেল চেয়ারম্যান তালা খুলে দেন। কোনো হামলা,ভাঙচুর বা আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেনি। একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষদের হয়রানি করা হচ্ছে।”
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন,“সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সদস্যরা গেইটে তালা মেরে অবরুদ্ধ হন এবং ইটপাটকেলে আহত হন। এ কারণেই আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।”
রাজনগর থানার ওসি মো. মোর্শেদুল হাসান খান বলেন,“মামলার তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি এখন স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ ও দ্রুত হয়,সেটিই দেখার বিষয়।