স্টাফ রির্পোটার
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ আমলে এলাকায় হামলা,হুমকি-ধমকি,মন্দিরে আগুন দেয়া,হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট
,বিগত সময়ে মেম্বার থাকা সময়ে মন্দিরের অনুদানলুটপাট,রাস্তার টাকা মেরে দেয়া,এক মহিলা মেম্বারের সাথে অনৈতিক সর্ম্পক নিয়ে ব্যাপক গুনজন,মানুষের নিকট হতে জমি (সনকরালি)বিক্রি করে টাকা নিয়ে তা তাদের দখলে না দেয়া এবং টাকা ফেরত না দেয়া,জনগনের জন্যে দেয়া রিফিল মেরে দেয়া,আওয়ামীলীগের ক্ষমতা
খাটিয়ে দড়িকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এলাকাবাসীকে বিগত ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে না দেয়া ও দুই পুত্র তোতা এবং আমিনুর কে নিয়ে নিজেরাই নৌকায় সিলমারা সহ নানান অপকর্মের শিরোমনি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেম্বার মোঃ মোক্তার হোসেনকে নিজ বাড়ি হতে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ডেভিল হান্টের অংশ হিসাবে গ্রেফতার করেছে শিবালয় থানা পুলিশ।
এছাড়াও মোক্তার মেম্বারের বড় ছেলে যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম তোতা বিগত জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে সাভার এলাকায় তার এক মামাতো ভাই ( তখন সাভার থানায় কর্মরত ছিল) এর সাথে মিলে বৈষম্য বিরোধী
ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিলো বলেও জানা গেছে।পরে সে সাভার এলাকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র অবস্থান করেছে।
ছোট ছেলে আমিনুর ইসলাম ওরফে মিনু (ফেসবুক আইডি-হিমেল ইসলাম) ২০১৩ সালে কাওয়ারবিল গ্রামের প্রয়াত ছানা সরকারের মেয়ে চিনু রানীর উপর হামলা করতে ককটেল নিক্ষেপ করে।চাহিদা মত চাঁদা না
দেয়াতে তাদের হত্যার হুমকি দেয়।একই সময় তারা সার্বজনিন কালি মন্দিরে আগুন দেয়।মানিকগঞ্জে তৎকালিন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পুলিশ আমিনুরকে গ্রেফতার করে এবংএই মামলায় সে জেল খাটে।পরে ক্ষমা চেয়ে এবং জরিমানা দিয়ে আপোস করে ।এ মামলায় মোক্তার মেম্বারও জেল খাটে।
মোক্তার মেম্বারের ছোট ছেলে আমিনুর তৎকালিন সময়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড.কামরুল ইসলামের মালিকানাধীন সময় টেলিভিশনের সহকারী ক্যামেরাম্যান হিসাবে চাকুরি নেয় ।মূলত নিজেকে আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতির ছেলে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়েই তার চাকুরি নিশ্চিত করে।এর পর হতেই এলাকায় নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।অতি সম্প্রতি রঘুনাথপুর গ্রামের মোঃ মোহন মোল্লা পটল এর পুত্র মহিনুরকেও সে হুমকি দিয়েছে।তার এসব অপকর্মের সহযোগী
এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীকে সে এসব কাজে নিয়োগ করেছে।সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত,সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের নামে নিয়মিত অপপ্রচার ও বানোয়াট মিথা তথ্য প্রচার
করে যাচ্ছে।এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে তার ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে ও আরো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বর্তমান সরকারকে বির্তকিত করার জন্যে এহেন যড়ষন্ত্র নেই যা এই অপরাধী চক্র করছে না।
এলাকাবাসীর দাবী এই দূর্নীতিবাজ,অপপ্রচারকারী,আওয়ামী দোসর,ভোট ডাকাত পরিবারের মূল হোতা মোক্তার হোসেন কে গ্রেফতার করলেই হবে না বরং তার দুই সন্ত্রাসী ও কুলাঙ্গার ছেলে ,তাদের সহযোগী সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।