মোঃ গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
আজকাল পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে—ছোট ছোট কিশোরেরা হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী। দেশীয় অস্ত্রসহ তারা ধরা পড়ছে পুলিশের হাতে। প্রশ্ন হলো—একজন কিশোর কেন ও কীভাবে হয়ে উঠছে অপরাধী? পিতামাতা কি কখনো খেয়াল রাখেন, সন্তান কোথায় যায়, কী করে?
যে বয়সে একজন কিশোরের উচিত পড়ালেখা করে নিজের ভবিষ্যৎ গড়া, পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করা—সে বয়সেই তারা জড়াচ্ছে অপরাধে। ১০-১২ জন কিশোর মিলে তৈরি করছে গ্যাং। তারা যুক্ত হচ্ছে মাদকাসক্তি, চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধে।
অভিভাবকদের ব্যস্ততা, সন্তানের প্রতি নজরদারির অভাব এবং কখনো কখনো দায়িত্ববোধের ঘাটতি কিশোরদের এ পথে ঠেলে দিচ্ছে। প্রযুক্তির সহজলভ্যতাও বিষয়টি আরও জটিল করে তুলছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জার গ্রুপে তারা জড়ো হচ্ছে, অপরাধের পরিকল্পনা করছে—শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমে, কোনো শারীরিক অবকাঠামো ছাড়াই।
এই বয়সে মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের ফলে কিশোরেরা সহজেই প্রভাবিত হয়। তারা অনেক সময় বুঝতেই পারে না কোনটা সঠিক, কোনটা নয়। ফলে ‘গ্যাং কালচার’ তাদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়। সমাজ ও পরিবার যদি আগে থেকেই সচেতন না হয়, তবে এই সমস্যার গভীরতা বাড়তেই থাকবে।
তাই সময় এসেছে অভিভাবকদের জেগে ওঠার। আজই শুরু করুন—আপনার সন্তানের খোঁজ-খবর রাখা। সে কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, মাদকাসক্ত কিনা, ঠিকমতো স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে কি না—এসব বিষয় নিয়মিত খোঁজ নিন। আপনার সামান্য সচেতনতাই একদিন আপনার সন্তানকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যে পরিবার, সমাজ ও দেশের গর্ব হবে।