ক্রাইম রিপোর্টঃ
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গুলশান থানাধীন গুলশান-২ কনফিডেন্স টাওয়ারের লিফটের ১১ “এসআরবি” হইতে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান অফিসের টাকা সহ বের হয়ে অফিসের নিচে আসে ।অফিসের নিচে আসার সাথে সাথে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক কোনো কারন ছাড়া ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান’কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গালিগালাজের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ী মারধর শুরু করে এক পর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একটি অজ্ঞাতনামা সিএনজিতে জোর পূর্বক তুলে নিয়া যায়।
অপহরনের বিষয়ে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মোছা.মিম খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রতিদিনের মতো আমার স্বামী মনিরুজ্জামান তার অফিস শেষ করে তার অফিসের নিচে এসে আমাকে ফোন দিয়ে বলে আজ তো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে পার্টিদের পেমেন্ট দেওয়া হয়নি টাকা গুলো বাসায় নিয়ে রাখতে হবে । টাকা গুলো নিয়ে আমার স্বামী যখন তার অফিসের নিচে আসে ঠিক সেই সময়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে কোনো কিছু বুজার আগে আমার স্বামীর গায়ে হাত তুলে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে ।তখন আমার স্বামীর অফিসের অন্যান্য স্ট্যাফেরা উক্ত সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে তাদেরকে খুন-জখমের হুমকি প্রদর্শন করায় তারা কেহই এগিয়ে যেতে সাহস পায়নি। আমার স্বামীকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সাথে থাকা ২টি স্মার্ট ফোন, যাহার অনুমান বাজার মূল্য ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ০২ ভরি ওজনের স্বর্নের গলার চেইন, যাহার অনুমান বাজার মূল্য ২,৮০,০০০/- (দুই লক্ষ আশি হাজার), শপিং ব্যাগে ব্যবসার টাকা ছিল।সব সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক নিয়ে যায় ।পরভর্তিতে অপহরনকারীরা আমাকে ফোন দিয়ে ৭০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। উপায় না পেয়ে আমি গুলশান থানায় এসে আমার স্বামীর অপহরনের বিষয়টি জানালে গুলশান থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন ছাত্রদের সহযোগীতায় ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা জে ব্লক, রোড নং-০৯, হাউজ নং-২৭৭, ৩য় তলার বি-২ ফ্ল্যাট হইতে অর্থাৎ ০৪ ও ০৫নং বিবাদীদ্বয়ের ভাড়াকৃত বাসা হইতে আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন।
তিনি আরো বলেন আমার স্বামীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সপারের মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র গুলো নিয়ে যান অপহরনকারী সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে আমার স্বামীর শাররীক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।অপহরনের বিষয়ে গুলশান থানায় ৬ জন ও অজ্ঞাত ৪/৫ জন সহ মোট দশ জন’কে আসামী করে মামলা করেছেন তিনি। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তিনি দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান,উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগির স্ত্রী মামলা করেছেন আমরা ঘটনার স্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি,এরই মধ্য আমরা মামলার ৬ জন আসামী’কে আমরা গ্রেফতার করেছি ।তারা হলেন সাইফুল ইসলাম(৪০) সুমনা শারমিন(৪৮)রাসেল হাওলাদার(২৪)সিয়াম মিয়া(২২)একে এম মাহমুদুল হাসান(২২)মোঃরিদয়(২৪) গ্রেফতারকৃত আসামীদের কারো কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই তারা সবাই অপহরণের সাথে জড়িত বলে মনে হচ্ছে,বাকী আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।