স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ধর্ষণের পর শেফালী বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৩টার উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ছলেমানা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোমরেজ খালাসী (সাবেক ইউপি সদস্য) ও তার দুই সহযোগী পলাতক রয়েছে। মৃত শেফালী বেগম ছলেমানা গ্রামের বাসিন্দা ও শফি খালাসীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মোমরেজ খালাসী ও তার দুই সহযোগী রাতে শেফালীর বাড়িতে গিয়ে দোচালা টিনের ঘরে আড্ডা দেয়। কিছুক্ষণ পর মোমরেজ শেফালীকে ডাক দিয়ে নিজের সঙ্গে ওই ঘরে নিয়ে যায়। শেফালী অসুস্থ হয়ে পড়লে মোমরেজ তাকে কোলে করে তার চৌচালা টিনের ঘরে দিয়ে পলিয়ে যায়।
নিহত শেফালীর নাতনি তাজবিন আক্তার (১৩) বলেন, নানীর অসুস্থতা দেখে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় , শেফালীর স্বামীর তিনজন স্ত্রী ছিলেন, তিনি ছিলেন ছোট স্ত্রী। মোমরেজ খালাসীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে জনায় প্রতিবেশীরা। সে সূত্রে মোমরেজ মাঝেমধ্যে শেফালীর বাড়িতে যেতেন এবং রাতেও অবস্থান করতেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে সদরপুর থানায় নিহত শেফালীর মেয়ে বন্য আক্তার বাদি হয়ে মোমরেজ খালাসীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল জলিল।
তানভীর তুহিন
স্টাফ রিপোর্টার