মীর ইমরান -মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর শিবচরের হাট-বাজার ইজারার টেন্ডারের পর। হস্তান্তরের আগেই নতুন ইজারাদারের সমর্থকরা সাত লক্ষ টাকা দাবি করেছে বাজিতপুর হাট( শেখপুর), ব্যক্তি মালিকানাধীন মুরগীর ব্যবসায়ীদের কাছে।
,১৪৩২ বাংলার অর্থবছরের নতুন ইজারাদার,হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়ে হাঁটের ইজারার পেয়েছেন শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান,।
গত (২৮ ফেব্রুয়ারি ) সকলে বাজিতপুর হাট ( শেখপুর) সাত মুরগী ব্যবসায়ীদের কাছে সাত লক্ষ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ উঠেছে ইয়াজ্জেম হোসেন রোমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এরা হলেন কালাম সিপাহী, মোঃ মিলন মাদবর,অভিযোগকারী মুরগি ব্যবসায়ী মোঃ জহিরুল ইসলাম,শাহাদাত হোসেন,মোঃ আরিফুল ইসলাম,হামিদুল আকন ,সজীব,নুরুজ্জামান বলেন আগে ইজারাদাররা প্রতি বছরে আমাদের সাত দোকান থেকে ঝাড়ুদারদের বাবদ ২৫হাজার টাকা নিতো।আমরা প্রতি বছর সেই টাকা পরিশোধ করতাম। এখন নতুন ইজারাদাররা আমাদের উপরে অনেক গুণ টাকার বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।।
এত টাকা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না তাহলে আমাদের দোকানপাট বন্ধ করে চলে যেতে হবে,আমরা ঋণ করে ব্যবসা পরিচালনা করি,তার উপরে এখন আবার অনেক গুন টাকা দাবি করছে বর্তমান হাট- ইজারাদার ,এত টাকা আমাদের দেওয়া সম্ভব নয়। নতুন ইজারাদারের দাবি কি তো টাকা না দিতে পারলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে চলে যেতে বলা হয়েছে। আমরা ব্যক্তি মালিকানা দোকানে ব্যবসা করি দোকানের অ্যাডভান্স ও ভাড়া পরিশোধ করি।
এখন নতুন ইজারাদাররা আমাদেরকে দোকান বন্ধ করে ট্রলঘরে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
এবং প্রতি দোকানে এক লক্ষ টাকা করে বছরে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে। আমাদের মুরগি ব্যবসায়ীদের সাতটি দোকান রয়েছে আর সাত দোকান থেকে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে, করেন কালাম সিপাহী ও মিলন মাদবর,এত টাকা দিলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করেই চলে যেতে হবে। শিবচরের শেরপুর হাঁটে অতিরিক্ত টাকা দাবির ঘটনায় স্যোশাল মিডিয়া তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
হাট-বাজার ইজারার সরকারের কোষাগারে দরপত্রের টাকা জমা না দিয়ে কিভাবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে সাত লক্ষ টাকা দাবি করে এবিষয়ে নতুন ইজারাদারের সমর্থকদের কাছে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল কালাম সিপাহী বলেন আগে নয় লক্ষ টাকা ছিল হাঁটের এখন আমরা প্রায় ৪১লক্ষ টাকা দিয়ে শেখপুর হার্ট ইজারা নিয়েছি এখানে প্রতি পিস মুরগির খাজনা রেট করা আছে,ইজারাদারদের দেওয়ার জন্য ।
আমরা সেই টাকা চেয়েছি। আবুল কালাম সিপাহীর কাছে জানতে চাওয়া হয় সরকারের কোষাগারে টাকা জমা না দিয়ে হাট না বুঝে পেয়ে কি করে আপনি ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তখন তিনি বলেন আলাপ-আলোচনা চলছে সাত বা ছয় লক্ষ টাকা দেবে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত করা হবে।
শিবচরে বাণিজ্যিক ভিত্তিক একটি হাট,বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর হাট ( শেখপুর) এখানে প্রতিদিন ব্যাক্তি মালিকানাধীন দোকানের অ্যাডভান্স দিয়ে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে ব্যবসা করে আসছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ মুরগি ব্যবসায়ীরা, বিগত দিনে হার্ট ইজারাদাররা শুধুমাত্র ঝাড়ুদার খরচ বাবদ বছরে সাত দোকান থেকে ২৫ হাজার টাকা নিত। সম্প্রতিক নতুন ইজারাদার সমর্থকরা মুরগি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা দাবির বিষয়ে সততা পাওয়া গেছে।
বর্তমানে ১৪৩২বাংলা ১ বৈশাখ নতুন ইজারাদার সরকারের দরপত্রের টাকা জমা দিয়ে হাট বুঝে নিবেন তার আগেই শেখপুর হাটের ইজারাদার দাবি করে দোকানদারদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছে,নতুন হার্ট ইজারাদারের সমর্থকরা।
উপজেলা প্রশাসনের নিকট থেকে হাট-বাজারের বিভিন্ন প্রকার টোল রেট তালিকা নিয়ে তা দেখিয়ে মুরগি দোকানিদের কাছ থেকে বার্ষিক ৭লক্ষ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
সরকারের ইজারাকৃত মূল্য পরিশোধ না করেই উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে টোল বা রেট আদায়ের তালিকা নিয়ে মুরগি ব্যবসায়ীদের চাপ সৃষ্টি করে সাত লক্ষ টাকা দাবি নতুন ইজারাদারের । শিবচর উপজেলার আওতাধীন বাজিতপুর হাট ( শেখপুর) স্থায়ী হাট হিসেবে পরিচিত।
প্রতিবছরের মত এবারও স্থায়ী হাটের ইজারা দিতে দরপত্র আহ্বান করেছিল শিবচর উপজেলা প্রশাসন। তবে অভিযোগ উঠেছে, তেমন কোন প্রতিযোগি না থাকলেও সরকারের ধার্যকিত ৯,৬৬,৩৬৭ টাকা বছরের ইজারা ছিল। কিন্তু তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকায় দিয়ে ইজারাটি ডাক নিয়েছে শিবচর বিএনপি নেতা ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান । সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বাজিতপুর হাট ( শেখপুর) ইজারা তার পক্ষে যায়।
কিন্তু ১৪৩২ বাংলার সালের নতুন ইজারাদারের কাছে হাটটি হস্তান্তর করা হবে তার আগে ইজারাদারের নিকট থেকে সরকারের কোষাগরে জমা দিতে সময় দিলেও সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করে। হাটটির খাজনা নিতে পাঁয়তারা করছে নতুন ইজারাদার ইয়াজ্জেম হোসেন রোমানের সমর্থকরা।
দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী, আগের ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার একমাস আগেই নতুন ইজারাদারের পক্ষ থেকে সরকারের কোষাগারে দরপত্রের সম্পন্ন টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে সরকারি কোষাগরে টাকা জমা না দিয়ে সরকারের কাছ থেকে হাটের টোল রেট তালিকা নিয়ে বাজিতপুর হাট (শেখপুর)ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে নতুন ইজারাদারের সমর্থকরা এতে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। এক বছরের জন্য হাটটি ইজারা নিতে নির্ধারিত সময়ে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন
শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজেম হোসেন রোমান, তিনি ভ্যাটসহ প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা দর দেন। শিবচর উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ দরদাতাকেই ইজারা দেয়, এটাই নিয়ম। কিন্তু শিবচর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ দরপত্রের টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ দরদাতাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
সেই সময়ের মধ্যে দরপত্রে উল্লিখিত টাকা পরিশোধ করতে না পারলে সময় বাড়ানো অথবা পুনঃদরপত্র আহ্বান করার কথা রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনি ভাবে টাকা চাওয়ার তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শিবচর উপজেলা সূত্রে বলছে, সর্বোচ্চ দরদাতাকে মূল্য পরিশোধ করতে বলা হয়। চিঠিতে উল্লেখ ছিল, পত্র প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে দাখিলকৃত টাকা পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের মাধমে শিবচর উপজেলা প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। সেই সাত কার্যদিবস শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত দাখিলকৃত মূল্য পরিশোধ করেনি সর্বোচ্চ দরদাতা। সম্পত্তি বাজিতপুর হাট ( শেখপুর) ইজারার টাকা পরিশোধ না করেই স্থানীয় দোকান ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছেন নতুন ইজারাদারের লোকজন এটা অবৈধ।
ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা দাবি করার বিষয় জানতে চাওয়া হলে একাধিকবার ফোন দিও পাওয়া যায়নি নতুন ইজারাদার বিএনপির নেতা ইয়াজ্জেম হোসেন রোমানকে। এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে জানতে মোবাইলে কল করা হলে ব্যস্ত পাওয়া যায় তার মোবাইলটি।