মো. নাছির উদ্দিন, চাঁদপুর:
ইলিশের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সারাদেশে ইলিশের মূল্য নির্ধারণে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের পাঠানো একটি চিঠির প্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নেয়। চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থাপন করা হলে প্রধান উপদেষ্টা প্রস্তাবটিকে অনুমোদন দেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ শাখার স্মারকে গত ২৬ জুন এই প্রস্তাবনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিবের নিকট প্রেরণ করেন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুরের সুস্বাদু ইলিশের সুনামকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো মূল্য নির্ধারণ করছেন। এতে ইলিশ সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। শুধু চাঁদপুরে নয়, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের আরও অনেক উপকূলীয় জেলায়ও ইলিশ ধরা পড়ে। তাই জাতীয় পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ ছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং এর উৎপাদনে জেলেদের সরাসরি উৎপাদন খরচ নেই, তাই প্রকৃত খরচ বিবেচনায় একটি ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ জরুরি। এতে বাজারে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং অসাধু সিন্ডিকেটের প্রভাব কমবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, “আমরা শুধু একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এখন বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত হবে। দাম নির্ধারণ মন্ত্রণালয় করবে, নাকি আমরা আবার প্রস্তাব পাঠাবো—সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “চাঁদপুরসহ দেশের ১০-১২টি জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে এবং বিক্রি হয়। এক জেলার মূল্য নির্ধারণ করে দিলে তা সারাদেশে কার্যকর হবে না। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছি যাতে সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে ইলিশ কিনতে পারে।”