হঠাৎ বৃষ্টি, ঠাণ্ডা বা ভাইরাসজনিত কারণে অনেকেই জ্বরে ভুগতে শুরু করেন। জ্বর আসলেই অনেকেই দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক বা নানা ওষুধে হাত বাড়ান। তবে কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস মনে করান, সাধারণ ভাইরাসজ্বরে এমন কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “জ্বরের কারণ মূলত ভাইরাস। তাই প্যারাসিটামল যথেষ্ট। শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হলে ওষুধের প্রয়োজন হয় না। ভাইরাল ফিভার সাধারণত তিনদিনের মধ্যেই নিজে থেকেই সেরে যায়।
ডা. অরিন্দম আরও বলেন, অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে অ্যালার্জির ওষুধ খাওয়া যায়, কিন্তু দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক কখনোই খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলো শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, ভাইরাসের উপরে কার্যকর নয়। জ্বরের সঙ্গে বমি, পায়খানা, হাত-পা অবশ বা তীব্র দুর্বলতা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জ্বরের সময় খাদ্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডা. অরিন্দম পরামর্শ দিচ্ছেন, উচ্চ ক্যালোরি ও ভিটামিনযুক্ত খাবার নির্বাচন করুন, যা সহজে হজম হয়। যেমন:
১. তরল খাবার: ফলের রস, স্যুপ, ডাবের পানি রোগীর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
২. সবজি ও ফলমূল: ভিটামিনের চাহিদা পূরণে রঙিন সবজি ও ফল বেশি দিন।
৩. সহজে হজম খাবার: খিচুড়ি, দই, ভাত, সেদ্ধ আলু, ডিম, সেদ্ধ শাকসবজি, জাউ ভাত, পেঁপে বা মুরগির ঝোল।
৪. স্যালাইন: শরীর বেশি দুর্বল হলে ৫০০ মিলি পানিতে ওরস্যালাইন মিশিয়ে ধীরে ধীরে খাওয়ানো যেতে পারে।
৫. স্বাভাবিক খাবার: রোগ নিরাময়ের দিকে এগোলে ধীরে ধীরে সাধারণ খাবারে ফিরিয়ে আনা যায়।
মনে রাখবেন, জ্বরের সময় রোগীকে কখনোই বাইরে তৈরি খাবার, তৈলাক্ত বা ভাজাপোড়া, কোমলপানীয় খাওয়ানো যাবে না। সঠিক ডায়েট ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব।







