মো. নাছির উদ্দিন, চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৬নং (উত্তর) কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন, বিভিন্ন ভাতা ও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে অতিরিক্ত টাকা নেয়াসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫ ইং) বিকেলে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৬নং (উত্তর) কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন।
অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী উপজেলার ৬নং (উত্তর) কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে তিন বছেরর অধিক সময় উক্ত পরিষদে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর ২০২৫ ইং চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর ইউপি সদস্যবৃন্দের পক্ষে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬নং (উত্তর) কচুয়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না,বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত।তার স্বেচ্ছাচারিতায় ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্যবৃন্দসহ সাধারন মানুষ অতীষ্ট।
এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়তি করে ট্রেড লাইসেন্স,জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন দীর্ঘদিন এ পরিষদে থাকার কারনে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছেন।তিনি এই ইউনিয়নের সন্তান।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার অপকর্মের মাত্রা বেড়েই চলেছে।তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় প্রভাব কাটিয়ে অপকর্মের মাত্রা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে।
এ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের যোগসাজশে এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। যার ফলে সেবা নিতে আসা জনগণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী জানান, এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন জানান, সরকারি নিয়মানুযায়ী তিন বছেরর অধিক সময় কোন কর্মকর্তা একই স্থানে থাকার বিধান নেই।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী আমার স্বাক্ষর জালিয়তি করে কয়েকটি অপকর্ম করেছে।এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স, ভাতাসহ বিভিন কাজে অনিয়ম করে ইউপি সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি আমাকে বিতর্কিত করেছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোহসীন উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।







