কর্মক্ষেত্রে সুন্দর পরিবেশ রাখতে শুধু পরিপাটি সাজসজ্জা বা নিয়মনীতি যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সদাচারী ও সহযোগী সহকর্মীও। কিন্তু বাস্তবে সবাই আপনার মতো আচরণ করবে না। কেউ কেউ আচরণ বা কথাবার্তায় এমন হতে পারেন, যাদের কারণে অফিসের পরিবেশ অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। ইংরেজিতে যাদের বলা হয় “টক্সিক কলিগ” — এরা অজান্তেই চারপাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আপনার অফিসেও যদি এমন কেউ থাকেন, তাহলে কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন—
১. সীমা নির্ধারণ করুন (Set Boundaries)
টক্সিক সহকর্মীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা সবচেয়ে কার্যকর। প্রয়োজন হলে সুন্দরভাবে কিন্তু দৃঢ়ভাবে “না” বলুন। ব্যক্তিগত বা মানসিক জগতে প্রবেশের সুযোগ দেবেন না। কথোপকথনে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
২. তাদের ড্রামায় জড়াবেন না (Avoid Their Drama)
এ ধরনের ব্যক্তিরা অন্যের প্রতিক্রিয়ায় টিকে থাকেন। বেশি মনোযোগ দিলে তারা আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। শান্ত ও স্থিরভাবে প্রতিক্রিয়া দিন। গসিপ বা তর্কে জড়াবেন না; আপনার শান্ত থাকা মানেই মানসিক পরিপক্কতার প্রকাশ।
৩. সবকিছু নথিভুক্ত রাখুন (Keep Records)
যদি টক্সিক সহকর্মীর আচরণ আপনার কাজ বা সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করতে শুরু করে, প্রত্যেকটি ঘটনা, ইমেল বা কথোপকথন লিখিতভাবে সংরক্ষণ করুন। ভবিষ্যতে বিষয়টি HR বা ব্যবস্থাপনাকে জানাতে হলে এটি শক্ত প্রমাণ হিসেবে কাজে আসবে।
৪. সহায়তা নিন (Seek Support)
কাজের বাইরে বিশ্বস্ত বন্ধু, সহকর্মী বা পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলুন। মানসিক সমর্থন টক্সিক আচরণের প্রভাব কমায় এবং আপনাকে ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করে। একাকীত্ব টক্সিক পরিবেশের সবচেয়ে বড় সহায়ক।
৫. প্রয়োজনে HR বা সিনিয়র কর্তৃপক্ষকে জানান (Report Professionally)
যদি সহকর্মীর আচরণ পেশাদার সীমা ছাড়িয়ে যায় বা কর্মস্থলের নীতিবিরোধী হয়, তথ্যসহ HR বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে জানান। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তত দ্রুত নিরাপদ কর্মপরিবেশ ফিরে আসবে।
অফিসে টক্সিক সহকর্মী থাকা মানেই পরিবেশ নষ্ট হওয়া নয়। সচেতনতা, সীমা বজায় রাখা এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়াই আপনার সেরা হাতিয়ার।







