ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে সমর্থন করা বন্ধ না করে, তবে তেহরান তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতা বিবেচনা করবে না।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানী তেহরানে শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে তিনি বলেন, “যদি তারা জায়নবাদী শাসনের প্রতি সমর্থন সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে, এখান থেকে সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে নেয় এবং এই অঞ্চলে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তাহলে কেবল তখনই সহযোগিতা বিবেচনা করা যেতে পারে।”
এই বক্তব্য দেন ১৯৭৯ সালে মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।
খামেনি আরও বলেন, “যদি একটি দেশ শক্তিশালী হয় এবং শত্রু বুঝতে পারে যে এই শক্তির মুখোমুখি হওয়া লাভজনক নয় বরং ক্ষতিকর, তাহলে দেশ অনাক্রম্যতা অর্জন করে।”
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ইরানের ওপর আবারও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিও একই পদক্ষেপ নেয়।
এর আগে রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আল জাজিরাকে বলেন, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত—তবে আলোচনার বিষয় হবে কেবল পারমাণবিক কর্মসূচি, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নয়।







