ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, গাজা নিরস্ত্রীকরণ ও বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হবে, সেটা যত সহজ বা কঠিনই হোক।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনায় হামাসের আংশিক সম্মতির পর। তবে হামাস যে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
মিশরে সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গোপন বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বলেছেন, তিনি চুক্তি বাস্তবায়নে হামাসের বিলম্ব “সহ্য করবেন না” এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলি সেনাদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। হামাসও প্রাথমিকভাবে কিছু বিষয়ে সম্মত হয়েছে এবং সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি জানিয়েছে। তবে নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে এখনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেই।
উভয় পক্ষ সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে গাজার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ির ৯০ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ হাজার ৭৪০ জনে।
গাজার এক বাসিন্দা ইব্রাহিম ফারেস বলেছেন, “আশায় ভেসে যেওনা। আরও অনেক দফা আলোচনা হবে, খুঁটিনাটি বিষয়ের মধ্যেই জটিলতা থাকে।” অন্যদিকে, জিম্মিদের পরিবাররা শিগগিরই তাদের প্রিয়জনদের মুক্তির আশায় দিন কাটাচ্ছেন।
ইসরায়েল ও হামাসের এই সংঘাত শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়েছিলেন।







