সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেছেন, ইসরায়েল আমাদের চোখের সামনে পুরো গাজাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা স্পষ্টতই গণহত্যা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আটক অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে পৌঁছালে ফিলিস্তিনপন্থি জনতা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।
ইসরায়েল জানিয়েছে, থুনবার্গসহ ৭১ জন আন্দোলনকারীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, এদিন একটি ফ্লাইটে মোট ১৬১ জন আন্দোলনকারী এথেন্সে পৌঁছান—যাদের মধ্যে ২২ বছর বয়সী থুনবার্গ ছাড়াও আরও প্রায় ২০টি দেশের নাগরিক রয়েছেন।
থুনবার্গসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০০ আন্দোলনকারী ৪০টিরও বেশি নৌযান নিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনী তাদের গতিরোধ করে এবং ৪৭৯ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে।
এথেন্সে পৌঁছে সমর্থকদের উদ্দেশে থুনবার্গ বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলছি—গাজায় একটি গণহত্যা চলছে। ইসরায়েল একটি পুরো জাতিকে আমাদের চোখের সামনে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আমাদের বিশ্বব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। সরকারগুলো আইনি বাধ্যবাধকতা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই আমরা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মাধ্যমে নিজেরাই পদক্ষেপ নিয়েছি।”
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও করেন থুনবার্গ। তিনি জানান, কারাবন্দি থাকা অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
স্পেনের বার্সেলোনা নগরের সাবেক মেয়র এবং একই অভিযানের অংশগ্রহণকারী আডা কোলাউ বলেন, “ওরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের মানুষ প্রতিদিন যে যন্ত্রণা ভোগ করছেন, তার তুলনায় এগুলো কিছুই না।”







