হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো কুরিয়ার চালান ডেলিভারি স্বাভাবিক হয়নি। এর ফলে তৈরি পোশাক, ওষুধসহ আমদানি-নির্ভর শিল্পখাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ জানিয়েছে, কাঁচামাল ও নমুনা (স্যাম্পল) না আসায় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের রপ্তানি অর্ডার ঝুঁকিতে পড়ছে।
শীর্ষ কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল বাংলাদেশমুখী পার্সেল পিকআপ বন্ধ রেখেছে, ফেডএক্সসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও চালান স্থগিত করেছে।
বিমানবন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত শেডগুলো পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় বহু পণ্য খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, তাদের সদস্য কারখানার সরাসরি ক্ষতি প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে ক্ষতি ১৬৫ কোটি টাকারও বেশি।
একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সমিতির হিসাবে, মোট আর্থিক ক্ষতি ৮০০ কোটি টাকার ওপরে, দীর্ঘমেয়াদে এক বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।
কার্গো জট নিরসনে সরকার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চালান সরানোর নির্দেশ দিয়েছে; না সরালে তা নিলামে তোলা বা ধ্বংস করা হতে পারে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিমানবন্দর এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়; বেবিচক, কাস্টমস ও কুরিয়ার কোম্পানির মধ্যে দোষারোপের পালা চলছেই।







