বাধন মিয়া, মহম্মদপুর (মাগুরা):
শীতের হালকা কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা জুড়ে নিয়ে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়ে গেছে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। গ্রামীণ জনপদে এখন উৎসবের আমেজ—সারি সারি খেজুর গাছে চলছে নলি বসানো ও গাছ ঝোড়ার (পরিষ্কার করার) মহাব্যস্ততা।
উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ও বেথড়ী এলাকার সড়ক ধরে চলতে গেলেই চোখে পড়ে খেজুর গাছের দীর্ঘ সারি, যা রস আহরণের মৌসুম শুরুর নীরব ঘোষণা দিচ্ছে।
ভোরের আবছা কুয়াশা ভেদ করে দেখা যায়, অভিজ্ঞ গাছিরা কোমরবন্ধে বাঁশের ঝুলি বেঁধে, হাতে ধারালো দা, বাটাল আর ‘হাসি’ নিয়ে রশি বেয়ে দ্রুত উঠে যাচ্ছেন গাছের মগডালে।
এ বছর রাজশাহী থেকে আগত দুটি পেশাদার গাছির দল প্রায় ৩০০ গাছ চুক্তিভিত্তিকভাবে পরিচর্যার দায়িত্ব নিয়েছে। দলনেতা হাফিজুর রহমান জানান, কার্তিক মাসে তাঁরা গাছ পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাঘ মাস পেরিয়ে ফাল্গুন পর্যন্তও মিষ্টি রস মিলবে।
স্থানীয়দের মতে, শীতকাল মানেই খেজুরের রসের মৌসুম। এই রস থেকে তৈরি হবে বিখ্যাত গুড় ও পাটালি, যা ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির উৎসবকে জমিয়ে তুলবে। আর এই রস-গুড় কেবল উৎসবের বার্তা নয়, গ্রামীণ অর্থনীতিতেও যোগ করে এক নতুন ও মিষ্টি সম্ভাবনা।







