সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণে যে সংলাপ বন্ধ ছিল, সেটি পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এই বৈঠকের মাধ্যমে।
নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমনও হতে পারে, সেই আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন চুক্তি সই হবে।” যদিও তিনি স্বীকার করেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর আগ্রহ সীমিত। তাঁর ভাষায়, “যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইতোমধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে গেছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমার মতে, ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধ করেছে এবং এখন সেই যুদ্ধের ইতি ঘটেছে।” তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে, যুদ্ধ শেষ হলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখনও অস্থির এবং নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “আমি দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। তারা ক্লান্ত, শ্রান্ত। কিন্তু সংঘাত কি আবার শুরু হতে পারে? হতে পারে, এমনকি খুব শিগগিরই হতে পারে।”
ট্রাম্পের এই বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকা রাখতে চায়। তবে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অবস্থান ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর।