Nationwide

  কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামী, সন্তানকে ফেলে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করায় মেয়েকে ত্যাজ্য করেছেন পিতা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে। রোববার আদালতের মাধ্যমে মেয়েকে ত্যাজ্য করেন পিতা রবিউল ইসলাম । এবিষয়ে রবিউল ইসলাম জানান, তার মেয়ে ইফফাত আরা খাতুনকে দুর্গাপুর গ্রামে একটি সম্ভান্ত্র পরিবারে বিয়ে দেন। সেখানে তার ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তার মেয়ে ইফফাত আরা খাতুন কুমারখালীর তেবাড়িয়া গ্রামের ফটোগ্রাফার, দুই সন্তানের জনক সাকিব ফারহানের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানার পর মেয়েকে নানাভাবে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৩ তারিখে তার মেয়ে ১২ ভড়ি স্বর্ণের গহণা এবং নাতি ছেলের জন্য জমানো টাকা নিয়ে সাকিব ফারহানের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। এরপর তিনি মেয়ের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসার অপেক্ষায় দুই মাস অপেক্ষা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিরে না আসায় তিনি চলতি মাসের ৬ তারিখে আদালতের মাধ্যমে মেয়েকে ত্যায্য করেন। তিনি আরো বলেন, তার স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি থেকে তার মেয়ে ইফফাত আরা খাতুনকে বঞ্চিত এবং তার মেয়ের প্রাপ্য সম্পত্তি নাতি ছেলের নামে লিখে দিবেন বলে জানান। এছাড়াও তার মেয়ে তাদের জন্য মৃত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোন স্ত্রী যেন স্বামী-সন্তান ফেলে এমন ঘৃণিত কাজ না করে’। এবিষয়ে ইফফাত আরা খাতুনের বর্তমান স্বামী সাকিব ফারহানকে কল করলে ব্যস্ততা দেখিয়ে কিছু সময় পরে কল করার কথা বললেও পরে আর কল ধরেননি তিনি।

Read More

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেকচেয়ারম্যান তারা মিয়া ও তার ছেলে ইকরাম…

সাইফুল ইসলাম ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির সাচরা মাছ। এসব মাছ এখন আর সচারচর দেখা যায়না। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পুকুর নালা, ডোবা, খাল ও বিল ভড়াট হয়ে যাওয়ায় এসব সাচরা মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তার স্থান এখন দখল করে নিয়েছে, হ্যাচারীতে প্রজননকৃত মাছ। ব্যাপক জনগোষ্ঠীর চাহিদা মিটাতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও মাছ আমদানী হচ্ছে আমাদের দেশে। এক সময় শৌল, টাকি,গজাল, পাপদা, পুটি, শিং, মাগুর, ভাটা, সরপুটি, বাইন, ফলি, ভ্যাদি, গুইঙ্গা, খইলশা, বাইলা, বোয়াল, মটকা চিংড়ি, মলেন্দাসহ বিভিন্ন প্রজাতীর দেশীয় সাচরা মাছ খুব সহজে পাওয়া যেত। বাড়ির পাশে পুকুর, ডোবা ও নালায় জাকি জাল দিয়ে এসব মাছ ধরা হত। তিন বেলাই মাছ-ভাত খেত বাঙ্গালীরা। এখন আর দেশী এসব মাছ সচারচর পাওয়া যায়না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এক দিকে মাছের চাহিদা বেড়েছে। অপর দিকে ভড়াট হয়ে যাচ্ছে জলাশয়। যে কারণে দেশীয় এসব সাচরা মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও অধিক ফলনের আশায় জমিতে নানা ধরনের কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করায়, এসব মাছ মরে যাচ্ছে। বংশ বিস্তার হচ্ছেনা। সরেজমিনে আলাপচারিতা জানা গেছে, নদী-নালাও খালে এক শ্রেণীর জেলেরা বিন্তি জাল , ধর্ম জাল ও ঘের জালসহ ছোট ফাঁসের বিভিন্ন ধরনের জাল ব্যবহার করে রেনু পোনা নিধন করায় মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তারপরেও শহর কিংবা গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে মাঝে মধ্যে এসব মাছ পাওয়া গেলে সরবরাহ খুবই কম। সুস্থ ও সুঠম শরীর গঠনের জন্য এসব মাছের ভূমিকা অপরিহার্য । বাউফলের নাজিরপুর ধানদি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আমজাত আলী মৃধা বলেন, ছোট কালে নদী-নালায় মাছ ধরতে ধরতে বড় হয়েছি। অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোতে তেঁতুলিয়া নদীর পানি ঘরের পাশে ক্ষেত টইটুম্বুর করত। তহন আমি পল্লা দিয়ে ওই পানিতে বোয়াল, শৌল, বাইন আরও কত কি মাছ ধরতাম। অহনও ক্ষেতে তেতুঁলিয়া নদীর পানি ওঠে। কিন্তু ওই সব মাছ আর পাওয়া যায়না”। বর্তমানে হাট বাজারগুলেতে এখন হ্যাচারিতে প্রজননকৃত থাই সরপুটি, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, রুই-কাতল, মৃগেল, সিলভার কাপ মাছ বিক্রি হচ্ছে। আবার পার্শ্ববর্তী ভারত ও বার্মা থেকেও মাছ আমদানী করা হচ্ছে আমাদের দেশে। কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ। এসব মাছ আবার তরচাজা রাখতে ব্যবহার করা ফরমালিন। যা স্বাস্থ্যর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এবং খেতে সু-সাদু নয়।

   মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার : কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক…

Latest Posts
Advertisement
Demo

Publisher: Anwar Murad
Editor: Mo Rashidul Islam (Rashed Manik)

Office- House-164/1, Road-3, Muhammadia Housing Limited, Muhammadpur, Dhaka.Mobile-01915-098961 Email: bangla.fm2020@gmail.com

© 2025 BanglaFM. All Rights Reserved.
Bangla FM
Bangla FM
LIVE