পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবের শাহাদাতবার্ষিকীতে সিলেটের সাংবাদিক নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, তুরাবের বুকে নয়, গুলি লেগেছে দেশের গণমাধ্যমের অন্তরে।
শনিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা ও সাংবাদিক সমাবেশ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,
“তুরাবকে ৯৮টি গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এতেও বিচার হয়নি। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি আর চলতে দেওয়া হবে না। যদি দ্রুত বিচার শুরু না হয়, তাহলে সিলেটের সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”
স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সিলেট প্রেসক্লাব, জেলা প্রেসক্লাব, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিকরা। উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেকেই বলেন, তুরাবের হত্যা ছিল সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধের একটি বর্বর উদাহরণ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নাজমুল কবীর পাবেল এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আশকার ইবনে আমীন লস্কর রাব্বী.
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের প্রিন্ট, টিভি ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক।
বক্তব্য দেন:
- সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম
- দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক মুক্তাবিস উন-নুর
- সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ
- ফটো সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন (১৯ জুলাইয়ের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী)
- এবং আরও বহু গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও প্রবীণ সাংবাদিক