লাইফ সাপোর্টে থেকে জীবনের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা। রোববার (৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী।
তিনি জানান, কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পরেও তার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। ফলে চিকিৎসকেরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সন্ধ্যায় লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
জানা যায়, গত ২ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিন সুবহা। রাজধানীর আফতাব নগরের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন। তবে পরদিন তিনি আবারও বুকে ব্যথা অনুভব করেন ও বমি করতে থাকেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। গত কয়েকদিনেও তাঁর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি ঘটে। শেষ পর্যন্ত রোববার বিকেলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই চিত্রনায়িকা।
তানিন সুবহার মিডিয়ায় আগমন ঘটে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ অডিশনের মাধ্যমে। গানের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও খুব দ্রুতই অভিনয়ের দিকে মনোনিবেশ করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। পরে মোশাররফ করিমের বিপরীতে ‘যমজ’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। এরপরই নাম লেখান চলচ্চিত্রে। সিনেমায় তার অভিষেক হয় ‘অবাস্তব ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, যদিও এটি মুক্তি পায়নি। পরে ‘মাটির পরী’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তানিন সুবহা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে; ‘ভালো থেকো’, ‘তুই আমার’, ‘দেমাগ’, ‘বেগমজান’, ‘বীর বাঙালি’, ‘রাজা রানির গল্প’।
মৃত্যুর আগে তার অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় ছিল, যার মধ্যে রয়েছে—‘বীর মাতা’, ‘দুই রাজকন্যা’ ও ‘প্রেমের বাঁধন’।