সিনিয়র প্রতিবেদক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ঘিরে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতিমা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন।
‘ছাত্ররা আতঙ্কিত, পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে’
উমামা ফাতিমা তার পোস্টে লেখেন,
“Alert! সাবধান ইন্টেরিম! ছাত্ররা যমুনার আগে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে পুলিশ একবার রমনার দিকের রাস্তার লাইট অফ করে দিয়েছিল। ছাত্ররা চেঁচামেচি করলে আবার লাইট জ্বালায়। ততক্ষণে পুলিশ রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।”
He also said,
“কাকরাইলের রাস্তায় প্রচুর পুলিশের গাড়ি। পুলিশ বুলেট ভেস্ট পরে প্রিপারেশন নিচ্ছে, এমনটাই ছাত্ররা জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা পুলিশকে বন্দুকে বুলেট লোড করতে দেখেছেন। ছাত্ররা আতঙ্কিত। হেয়ার রোডে পাঁচজন শিক্ষক কথা বলতে গিয়েছিলেন, তারাও বের হয়ে আসছেন। আমি ছাত্র-শিক্ষকের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত শঙ্কিত।”
মাহফুজ আলমের ওপর হামলায় নিন্দা
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উমামা বলেন,
“মাহফুজ আলম ভাইয়ের গায়ে বোতল ছুঁড়ে মারার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।”
তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ন্যায্য ও যৌক্তিক।
“আমি অনুরোধ করতে চাই, আপনারা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব হিসেবে ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নিন। সরকারে থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই জগন্নাথের ছাত্রদের গায়ে একটা টোকাও যাতে না লাগে,”—বলেছেন উমামা ফাতিমা।
লংমার্চে উত্তাল জবি শিক্ষার্থীরা
এর আগে তিন দফা দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ডাক দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত থেকে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান শুরু করে।
পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে সেখানে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে তিনি অভিযোগ করেন,
“একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্দোলনে ঢুকে সেটিকে স্যাবোটাজ করার চেষ্টা করছে। তাদের নাম বলতে চাই না, তবে তারা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নয়।”