Joypurhat District Representative:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের জিয়াপুর সরদার পাড়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল ওহাবের বসতবাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত পাঁচ। এঘটনায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওহাবের পরিবারের পক্ষে ভাগিনা সাহিদ।
গত (১৭ জুলাই)বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করেন আব্দুল ওহাবের ভাগিনা সাহিদ ও ছেলে আব্দুল্লাহেল কাফি। তাঁরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার ফুপার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। ওই বাড়ি দখল নিয়ে প্রতিবেশি আবু বক্করের সঙ্গে আমার ফুপা আব্দুল ওহাবের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এবিষয়ে আবু বক্কর সিদ্দিক বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত আমার ফুপা আব্দুল ওয়াহেবের পক্ষে রায় দেন। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয়কে নিয়ে একাধিকবার সালিশে বসলেও কোন শুরাহা হয়না। বরং তারা আামার ফুপা ও তার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। এনিয়ে (১৭ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় হঠাৎ তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার ফুপার বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে কয়েক লাখ টাকায় ক্ষয়ক্ষতি করে এবং আমার ফুপা সহ চারজনকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে মেরে আহত করে। ওই সময় বেগতিক হয়ে আত্মরক্ষার জন্য ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে তারা পিছু হটে। পরে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের আমরা বলেছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
অভিযুক্তরা হলেন, জিয়াপুর সরদার পাড়া গ্রামের মোকলেছারের ছেলে আবু বক্কর, দুদুমিঞার ছেলে মাসুদ, লালটু মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ, মোকলেছারের ছেলে হাসান, আবুবক্করের ছেলে আসাদ, ছয়ফুলের ছেলে বুলু মিয়া, মুঞ্জুর ছেলে হাবিব, আঃ আজিজের ছেলে সজিব, দুলু মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, দেলোয়ারের ছেলে আঃ রহিম, দুলু মিয়ার ছেলে মিজানুর, মুঞ্জুর ছেলে মামুন ও মুক্তার, কাশিম আলীর ছেলে ওয়াসেক,সোলাইমানের ছেলে দেলোয়ার, বুলু মিয়ার ছেলে ইউনুছ, ওয়াসেকের ছেলে আয়রুল, বেলাল হোসেনের ছেলে আঃ হাকিম, আঃ বারির ছেলে আবু হোসেন, নান্টু মিয়ার ছেলে ইলিয়াস সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকেই।
নাম প্রকাশে কয়েকজন প্রতিবেশী জানান৷ ভোরে সিদ্দিক সহ কয়েকজন মিলে আব্দুল ওহাবের বাড়িতে হামলা করতে যায়৷ তাদের মধ্যে একজন আহত হলে৷ এরপরেই আব্দুল ওহাবের নির্মানাধীন বাড়ি ভাঙচুর করে দেয়৷
আব্দুল ওহাব বলেন, প্রতিবেশী আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় তারা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হাফসা লোকমান ও সাকিল গুরুতর আহত হন তারা সবায় জয়পুরহাট জেলা আধনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে৷
এ বিষয়ে আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রুগিকে নিয়ে ব্যস্ত আছি এ বিষয়ে আপনাদের সাথে পরে কথা বলবো।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর বলেন, ওই জমিতে মামলা হয়েছে ছিল। আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। উভয়কে নিয়ে আজ শনিবার স্থানীয়ভাবে সালিশের তারিখ ছিল। এর মধ্যে আব্দুল ওহাবের বাড়িতে কাজ করা শুরু করে। আবু বক্কর বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে।
ক্ষেতলাল থানা ওসি তদন্ত কামাল হোসেন জানায়, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ গিয়ে পরিদর্শন করেছে। ভাংচুর ও উভয় পক্ষে আহতের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে৷