দুমকি (পটুয়াখালী):
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন খাল ও বিলজুড়ে অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল ও চায়না রিং জাল। ফলে দেশীয় মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আঙ্গারিয়া, মোল্লখালি, গাবতলি, জামলা, কদমতলা, কোহারজোরসহ অন্তত ২০টির বেশি খালে বর্ষার শুরু থেকেই অবাধে চলছে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরার মহোৎসব। এতে প্রাকৃতিকভাবে মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
একসময় যেসব দেশীয় মাছ এলাকাজুড়ে সহজলভ্য ছিল—বোয়াল, গজার, শোল, পাবদা, খলসে, রিঠা, বেতাগা, রয়না, কালিবাউস—এখন সেগুলো প্রায় দেখা যায় না। শুধু জালই নয়, বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার, পুকুর সেচ, খাল-বিল দখল এবং কৃষি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণেও নষ্ট হচ্ছে জলজ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
নতুন বাজার, পীরতলা ও বোর্ড অফিস বাজারসহ একাধিক বাজারে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ জাল বিক্রি হলেও প্রশাসনের কার্যকর তদারকি নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
দুমকি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, “আমাদের অভিযান চালানোর পরিকল্পনা আছে। তবে সবার সহযোগিতা ছাড়া সফলতা আসবে না।”
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, “মৎস্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”