সাভারের কলমা এলাকায় এক হৃদয়বিদারক ও অমানবিক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। নিজের কিডনি দান করে স্বামীর জীবন বাঁচানো এক নারীকে ঘরছাড়া করেছেন সেই স্বামী। অভিযোগের ভিত্তিতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন স্ত্রী উম্মে সাহেদীনা টুনি। অভিযুক্ত মোহাম্মদ তারেক বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে টুনির সঙ্গে মালয়েশিয়া প্রবাসী তারেকের বিয়ে হয়। ২০০৭ সালে জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র সন্তান আজমাইন দিব্য। তবে ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারেকের দুটি কিডনি প্রায় অচল হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শে ভারতের তামিলনাড়ুর সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করা হয়, এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন দেখা দেয়।
অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য টুনি শুরু করেন পার্লার ও বুটিক ব্যবসা। মাসিক উপার্জনের পুরোটা ব্যয় করেন চিকিৎসায়। নিজের জমানো অর্থ, স্বর্ণালংকার বিক্রি করে বছরে একাধিকবার স্বামীকে ভারতে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। পরিশেষে, নিজের কিডনি দিয়ে স্বামী তারেকের জীবন বাঁচান।
চিকিৎসা ও কিডনি প্রতিস্থাপনের পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তারেক। তবে অভিযোগ রয়েছে, এরপর তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। একপর্যায়ে টুনিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন তারেক। বর্তমানে তিনি এক নারী সঙ্গীর সঙ্গে বসবাস করছেন বলেও জানা গেছে।
অপমান ও নির্যাতনের শিকার টুনি বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর তারেককে গ্রেফতার করা হলেও তিনি জামিনে রয়েছেন।