ক্রিকেট ডেস্ক:
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মঞ্চে লর্ডসে ইতিহাস গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ২৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে লর্ডসের ১৪১ বছরের টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং করেছেন তিনি।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ভরসা ডেভিড বেডিংহামকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম শিকার করেন কামিন্স। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে করতালিতে ফেটে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, যিনি ২০০৮ সালে এই লর্ডসেই অধিনায়ক হিসেবে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। কামিন্স সেই তালিকায় চতুর্থ অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখান।
সাউথ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩৮ রানে, অস্ট্রেলিয়া পায় ৭৪ রানের লিড।
তবে দিন শেষে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি অস্ট্রেলিয়াও। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা ও এনগিডির তোপে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। অজি ব্যাটাররা চাপে পড়ে গেলে অ্যালেক্স ক্যারি (৪৩) ও মিচেল স্টার্ক (১৬)* মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। তবে দিনশেষে ক্যারির আউট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুটা স্বস্তি দেয়।
দিন শেষে দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার লিড: ২১৮ রান
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে কেউই ফিফটি পাননি। ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ক্যারি–স্টার্কের ৬১ রানের জুটি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়।
উইকেট পড়ছে ধারাবাহিকভাবে
প্রথম দিনে ১৪টি উইকেট, দ্বিতীয় দিনেও একই সংখ্যা। বোলারদের রাজত্ব চলছে লর্ডসে।
তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করবে স্টার্ক (১৬) ও লায়ন (১)**কে নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য যত বড় হবে, ইতিহাস তত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ লর্ডসে চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড মাত্র ১১৯।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ২১২ ও ৪০ ওভারে ১৪৪/৮
(ক্যারি ৪৩, লাবুশেন ২২, স্টার্ক ১৬*, লায়ন ১*;
এনগিডি ৩/৩৫, রাবাদা ৩/৪৪, মুল্ডার ১/১৪, ইয়ানসেন ১/৩১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫৭.১ ওভারে ১৩৮
(বেডিংহাম ৪৫, বাভুমা ৩৬; কামিন্স ৬/২৮, স্টার্ক ২/৪১, হ্যাজলউড ১/২৭)