বাধন মিয়া,মহম্মদপুর (মাগুরা):
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের একজন কাঠমিস্ত্রি রবিউল। জুলাই ২০২৪–এ ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনে পুলিশের ছররা গুলিতে তার ডান চোখটি চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। সেই দিন থেকে তার জীবন থেমে গেছে অন্ধকারে।
রবিউল কোনো রাজনৈতিক দলের পদধারী না হলেও, মনে মনে বিএনপির আদর্শকে ভালোবাসেন। আন্দোলনের দিন ঢাকায় না থাকলেও গ্রামে প্রতিবাদে অংশ নিয়ে ছররা গুলির শিকার হন। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েনের মাঝেও তাকে নেয়া হয় ঢাকার আগারগাঁও চক্ষু ইনস্টিটিউটে। সেখানে তার চোখে অপারেশন করা হলেও এখনও একটি গুলি রয়ে গেছে চোখে, যা অপসারণ সম্ভব হয়নি।
জীবনের তাগিদে কাঠমিস্ত্রির কাজ করলেও চোখ হারানোর পর থেকে সে কাজও আর করতে পারছেন না ঠিকমতো। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়ার প্রেক্ষিতে জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে এখন পর্যন্ত ২ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি, কিন্তু মাসিক সহায়তা যা প্রতিশ্রুত ছিল, তা এখনো চালু হয়নি।
রবিউলের পরিবারের আয় বলতে এখন তেমন কিছুই নেই। তিনি নিজে বলেন— চোখ হারিয়ে শুধু আলো নয়, জীবনও হারিয়ে ফেলেছি। চিকিৎসা অসম্পূর্ণ, সহায়তাও বন্ধ। এখন শুধু কষ্ট আর অন্ধকার।