উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফের কাছে সোমবার ভোরে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৭ জন নিহত ও প্রায় ১৫০ জন আহত হন।
এটির আগেই গত আগস্টে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও শক্তিশালী আফটারশকে প্রায় ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছিল।
কেন আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ?
আফগানিস্তান ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এছাড়া দক্ষিণে আরব প্লেটের প্রভাবও থাকে। ভারতীয় প্লেটের উত্তরমুখী গতি ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষ দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম টেকটোনিকভাবে সক্রিয় অঞ্চল হিসেবে তৈরি করেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো
পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তান, বিশেষ করে পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। ঘনবসতিপূর্ণ কাবুল শহর ভূমিকম্পে বড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিকম্প আরও বিপজ্জনক, কারণ ভূমিধসের ফলে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি বাড়ে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের ইতিহাস
১৯০০ সাল থেকে আফগানিস্তানে প্রায় ১০০টি বড় ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে ২০২২ ও ২০২৩ সালে প্রায় হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। ২০১৫ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে প্রায় ৩৯৯ জনের প্রাণহানি ঘটায়। ১৯৯৮ সালে তিন মাসের মধ্যে দুটি ভূমিকম্পে মিলিতভাবে প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।
প্রতিরোধ ও স্থিতিস্থাপকতা
গবেষকরা সুপারিশ করেছেন, নতুন ভবন ভূমিকম্প-প্রতিরোধীভাবে নির্মাণ করতে হবে। বিদ্যমান ভবনগুলোর পুনঃনির্মাণ ও ধসের সম্ভাবনা কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া সময়োপযোগী সতর্কতার জন্য পর্যবেক্ষণ ও প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোকদের স্থানান্তরের জন্য ভূ-স্থানিক ও দূরবর্তী সংবেদন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফল্ট লাইন ম্যাপিং করা যেতে পারে।







