অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর জেলার সন্ত্রাস কবলিত জনপদ চন্দ্রগঞ্জ থানায় এখন স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। থানাটির ৯ টি ইউনিয়নে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়জুল আজীম নোমান। ফয়জুল আজীম চন্দ্রগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে খুন, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই,
অপহরণসহ চাঁদাবাজির ঘটনা কমে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। তার এ সফলতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফয়জুল আজীম নোমান যোগদানের তিন মাসের মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ ও এজাহার ভুক্ত ১৬ জন আসামী গ্রেপ্তার করাসহ অপহরণ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারসহ রিভালবার ও গুলি উদ্ধার করেন। এছাড়া শত শত অভিযোগ সমাধান করেন তিনি।
ওসি ফয়জুল আজীম নোমানের নেতৃত্বে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের সকল সদস্য দিনরাত এই সন্ত্রাসী এলাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাল্টে যেতে শুরু করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকার অপরাধ প্রবণতা। গা ঢাকা দিয়েছে অনেক অপরাধী। অপরাধিদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশের কৌশলি ভূমিকার কারণেই ভেঙে পড়েছে অপরাধীদের নেটওয়ার্ক। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। স্থানীয় সচেতন মহল বলেছেন- উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশের।
চন্দ্রগঞ্জ উপজেলায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার থাকায় অতীতের তুলনায় অপরাধ কর্মকান্ডের সংখ্যা এখন অনেক কম। শুধু তাই নয়, তিনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ফুল ফলাদীর বৃক্ষে শোভা বর্ধন করেছেন থানা ভবনের৷ খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আস্থা অর্জন করে সবার পরিচিত হয়ে উঠেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফয়জুল আজীম নোমান বলেন, “পুলিশ জনগনের বন্ধু” জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। উল্লেখ্য ফয়জুল আজীম নোমান ২০০৩ সালে পুলিশের আউটসাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সন্তান।