পল্টন বিএনপির কার্যালয়ের আগাম কিয়ামত বানিয়েছিল বিশ্ব স্বৈরাচার হাসিনা: আব্বাস আলী
জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা ভাসিলা স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে ভাসিলা গ্রামে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে ১১ই জানুয়ারী রাত্রি ৮ ঘটিকায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদলে তৈরি জুনিয়রকে নিয়ে হাজির হন ছাত্রনেতা মো: আব্বাস আলী।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদলে সাজা ছোট্র মেয়ে মোছা: সামিয়া আক্তার (৮) পোশাক সাজ সজ্জা ঠিক যেন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় সামিয়া আক্তার উপস্থিত জনসম্মুখে বলেন আমি এদেশের একজন নাগরিক, আমার বিদেশের মাটিতে কোন ঠিকানা নেই বাংলাদেশই আমার ঠিকানা। বিদেশে আমার বন্ধু আছে কোন প্রভু নেই। বিগত ১৫ বছর এই দেশকে নৈরাজ্য বানিয়ে ফেলেছে, জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে তাই ২৪ এর ছাত্রজনতা এবং আমার দলের কর্মীদের গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন আর আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি একজন আমার দলের নিবেদিত, সাহসী, মজলুম কর্মী আপনারা তার জন্যও দোয়া করবেন।
প্রধান অতিথির আগমনে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মো:আব্বাস আলী সহ তার নেতা কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চে প্রবেশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ফখরুজ্জামান চৌধুরী রুমি। আক্কেলপুর পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি এম কেরামত আলী,কালাই থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মোল্লা , কালাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন মন্ডল, সাইবার যোদ্ধা ডিএম জাকির হোসেন সহ আরও অনেকে।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান সিদ্দিক বলেন এই আব্বাস আলীকে আমি কাছ থেকে দেখেছি তার উপরে আওয়ামী হায়েনারা কতটা নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে, তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে নির্যাতন করে মৃতভেবে বস্তায় ভরে সাহাবাগ থানার সামনে ফেলে রেখে গিয়েছিল। ছাত্রলীগের উপেন চ্যালেঞ্জের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিনে তারেক রহমানের জন্মদিন পালন করতে গিয়েও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন,। এরকম হাজারো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার কারণেই আজকে আপনারা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছেন তাই আপনাদের সন্তান মো: আব্বাস আলীর জন্য জয়পুরহাট ২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দোয়া করবেন, সাথে থাকবেন ইনশাআল্লাহ
প্রধান অতিথির আব্বাস আলী বক্তব্যে বলেন আমি ১৯৯৮ থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্রদলের রাজনীতি করার কারণে ১৯৯৯সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বাড়া নির্যাতনের শিকার এবং জেলে যেতে হয়েছিল, এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্রদলের রাজনীতি করার কারণে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী হায়েনারা নির্মম নির্যাতন করে আমাকে রক্তাক্ত করেছিল তবুও বিএনপির রাজনীতি থেকে আমাকে সরাতে পারেনি। দলের নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্তরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমার মেরুদণ্ডের উপরে লাফিয়ে লাফিয়ে নৃত্য করেছিল, ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে তামাশা করে নাটক সাজিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিনত করে রাষ্টীয়ভাবে ঘোষনা দিয়ে আমাকে ২১ দিন ডিবির অন্ধকার ঘরে গম করে রেখেছিল, এরকম হাজারো রাজপথে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল আমাকে, ২৮ শে অক্টোবর ২০২৩ পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী সেদিন নয়া পল্টন বিএনপির কার্যালয়ের এক আগাম কিয়ামত বানিয়ে ফেলেছিল হাসিনা সরকার ও পুলিশ বাহিনী, আমাকে গুলি করে, মাথায় আঘাত করে মৃতভেবে ফেলে গিয়েছিল, আল্লাহর অশেষ ক্ষমতায়, তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক নজরে থাকায়, কেন্দ্রীয় ডাক্তারদের চিকিৎসায় এবং নেতা কর্মীদের দোয়ায় আমি আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি আলহামদুলিল্লাহ।
২৪ এর গণআন্দোলনের সময়ও আমি রাজপথে সরাসরি যুদ্ধে অনশগ্রহণ করি সেখানেও হাতে, পায়ে, শরীরে শত শত ছড়াগুলি লাগার পরেও বিজয় নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরি।
প্রধান অতিথি মো: আব্বাস আলী বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিভাবে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা উপস্থিত জনগণের কাছে তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জয়পুরহাট – ২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার কাছে দোয়া চেয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন৷
তার এই সক্রিয়তা ও বড় শোডাউন জনসভায় উপস্থিত দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও নজর কাড়ে। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আব্বাস নিশ্চয় হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়ে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় হয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। সূত্র মতে, কালাই ক্ষেতলাল আক্কেলপুর বিএনপি-জামায়াতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় এই সময়ে আব্বাসের বিকল্প কেউ নেই৷