দেশের মানুষ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায় : মিয়া গোলাম পরওয়ার
শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধি :
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। অতীতে যারা শাসন করেছে তাদেরকে আর এ দেশের মানুষ চায় না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াত ছাড়া আর কোন ভরসার স্থান নেই। ইসলাম-ই একমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কাগজে-পত্রে যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ পালিয়েছে। পালানো দলই মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কার্যত তারাই নিষিদ্ধ দলে পরিণত হয়েছে।”শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজ মাঠে গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।”
এদিকে কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন,ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের খেলার মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। কানায় কানায় ভরে যায় পুরো মাঠ। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা মাঠের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। স্লোগানে স্লোাগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, গত দেড় দশকে আমরা একটা কালো যুগ পার করেছি। আইয়ামে জাহিলিয়ার যুগে মানুষ যেভাবে বর্বর শাসনের অধীনে ছিল, আমরাও সেই সময়টি পার করেছি। প্রায় ১৮ বছর ধরে আদরা ভোটাধিকার পাইনি। গণতন্ত্র ছিল না, আইনের শাসন ছিল একবারেই অনুপস্থিত। মানুষের অন্ন, বস্ত্র বাসস্থানের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। মানুষের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। তিনি বলেন, দেশে চলেছিল একদলীয় শাসন। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ চাকরী পায়নি, ব্যবসা করতে পারেনি। মানুষের জীবনের কারো নিরাপত্তা ছিল না। মত প্রকাশের অধিকার ছিল একেবারেই রুদ্ধ। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট, একদলীয় শাসনসহ নানা অনাচারের মাধ্যমে তারা দেশের সবকিছুকেই তছনছ করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এই গাজীপুরে নতুন দেশ গঠনের অংশীদার। এখানেও আমাদের ভাই শহীদ হয়েছেন। অনেকেই আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা তাদের এই অবদান চিরকৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।
গাজীপুর জেলার আমীর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ড. মোঃ সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মুহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।