শিরোনাম
কালীগঞ্জে পৌষ সংক্রান্তির ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা অনুষ্ঠিত   » «    ফ‍্যাসিবা আ’ওয়ামী সরকারের সকল মামলায় খালাস “বাবর” মদনে আনন্দ মিছিল   » «    দৌলতপুরে ইউসুফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এলমেচ গ্রেফতার   » «    ভারত যাওয়ার পথে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২   » «    সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি ও চালের বাজার   » «   

সাতক্ষীরার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কর্তৃক ১ ব্যাক্তিকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশি মধ্যস্ততায় মুক্তি

বিশেষ প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদে ছাগল হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ১ ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশি মধ্যস্ততায় মিলেছে মুক্তি। ইউনিয়ন পরিষদে ছাগল হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শালিশের নামে সম্পূর্ণ বে-আইনি ভাবে ইউনিয়নটির কালিকাপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদ এর পুত্র ছবিলার রহমান(৪৪) কে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আটক করে রাখে চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন।
খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় ঘটনা স্থলে এসে আটক ছবিলারকে সংগে নিয়ে তার বাড়িতে ছাগল দেখতে যেতে চাইলে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপ পরিদর্শক মাহফুজ সহ সংগীয় পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরে, বে-আইনি ভাবে আটকের ব্যাখ্যা চায় এবং তাকে মুক্তি দেওয়া সহ তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। উত্তেজিত জনতা ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল সহ ছবিলার কে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ছবিলার রহমান বলেন বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের ৩ জন চৌকিদার চেয়ারম্যান সাফিয়ার সাথে দেখা করার কথা বলে আমাকে পরিষদে ডেকে নিয়ে যায় আমি পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে শালিশের কথা বলে। আমি তার কাছে সময় চাইলে সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং চৌকিদারদেরকে আমাকে আটকে রাখার নির্দেশ দিলে, তারা আমাকে আটক করে রাখে।
কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ঐ ব্যক্তিকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন রামনগর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছাগল হারানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিশি মিমাংসার জন্য বাদি বিবাদি উভয়কে পরিষদে রাখা হয়েছিল এবং বিষয়টি শুক্রবার সকালে কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে জানানো হয়েছিল। কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুব দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন মধু বলেন সম্পূর্ণ বে-আইনি ভাবে একজন চেয়ারম্যান সালিশের নামে কাউকে আটক/জিম্মি করে রাখতে পারেনা কনকনে শিতের মধ্য একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে আটকে রেখে আইন এবং মানবতার প্রতি চরম অবমাননা করেছেন। ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আল মাহমুদ ছোট্রু ও সদস্য সচিব মাহমুদ মোস্তফা পবিত্র জুম্নার দিনে একজন মানুষকে আটকে রেখে নামাজ আদায় করতে না দেওয়ার মত ঘিন্ন কাজে চেয়ারম্যান সাফিয়ার তিব্র সমালোচনা করে বে-আইনি আটকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়নটিতে জন সাধারণের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * সাতক্ষীরার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কর্তৃক ১ ব্যাক্তিকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশি মধ্যস্ততায় মুক্তি
সাম্প্রতিক সংবাদ