মানিকগঞ্জের শিবালয়ে খাবারের সাথে চেতনা নাশক জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে গৃহকর্তার সর্বস্ব লুটে নেয়া চক্রের এক সদস্যকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারী ) সকালে গৃহকর্তার সর্বস্থ লুটে নেয়ার সময় চোর চক্রের একসদস্য মতিউর রহমান (২৭)কে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে শিবালয় থানা পুলিশ।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার কয়ড়া গ্রামের মো.আলমগীর হোসেনের বাড়ির টিউবওয়েলের পানিতে গত ৭ জানুয়ারী বিকেলে কে বা কারা নেশা জাতীয় ঔষুধ দিয়ে রাখে। আলমগীর হোসেন খাবার খাওয়ার পর বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করতে গেলে তখন মাথা ঘুড়ায় এবং ঘুম ঘুম লাগে তার। তখন তার সন্দেহ হলে বাজারে গিয়ে আচার কিনে এনে নিজে খায় এবং পরিবারের অন্যন্য সদস্যদেরকে খাওয়ান এবং ঘটনাটি প্রতিবেশীদেরকে জানালে তারা রাতের বেলায়  সকলকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন। এরপর বুধবার দিবগত রাত আনুমানিক ১টায় তার ঘরের বাড়ান্দার কেচি গেটের লক ভেঙ্গে চোর মতিউর ঘরে প্রবেশ করে আলমারিতে রাখা ভ্যানিটি ব্যাগ হতে তিন হাজার টাকা চুরি করে। এসময় কেচি গেইট ভাঙ্গার শব্দে আলমগীর চোর, চোর বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে চোর চক্রের দুই জন পালিয়ে গেলেও মতিউর নামের একজনকে আটক করেন স্থানীয় জনতা।

এসময় বাড়ির পাশের জমিতে ফেলা রাখা একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। এরমধ্যে একটি ¯স্ক্রড্রাইভার,টিন কাটার একটি কাটার, একটি লোহা তোলার জামটিয়া, একটি শেলাইরেঞ্জ, তিন জোড়া জুতা, একটি ভাঙ্গা কেচি গেইটের লক পাওয়া যায়।

আটক মতিউর রহমান মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত-আক্কাস উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকা জেলার সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।

এ ব্যাপারে শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ এআরএম আল মামুন বলেন, আটক মাতিউর চেতনা নাশক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য প্রয়োগ করে পরস্পর যোগসাজসে চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে চুরি করার চেষ্ট করে। এসময় স্থানীয় জনতা ওই চোরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর আমরা ওই চোরকে কোর্টে প্রেরণ করেছি।