বন্যায় ভেঙে যাওয়া ঘর নির্মাণ কাজে সহযোগিতা চায়
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
ফেনী জেলায় হঠাৎ বৃষ্টির পানি ও ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানিতে পরিণত হয় ভয়াবহ বন্যা, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার পরিবার। কয়েক মাসের ব্যবধানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মোটামুটি স্বস্তির দেখা মিললেও অনেকের মিলেনি ঘরবাড়ি।
ফেনী জেলা পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর তালবাড়ীয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বাড়ির বড় ছেলে আবুল কাশেম (৭৮) ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ির পরিবর্তন এখনো দেখা যায়নি।
এক সময় আবুল কাশেম সরকারি খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, ৩০ বছরের উপরে হচ্ছে যেকোনো কারণবশত হঠাৎ করে তার চাকরিটি চলে যায়। তারপর থেকে ঘর বসা হয়ে যায় আবুল কাশেম।
আবুল কাশেমের ২ মেয়ে ১ ছেলে, কয়েক বছর আগে ছেলেকে কাতার পাঠানো হয়। ভালো মালিক না পাওয়ায় কয়েক বছর ধরে আবুল হাসান ৩ মেয়ে বউ মা বাবা নিয়ে দুঃখে কষ্টে জীবন যাপন করছেন। ৪ বছর আগে আবুল কাশেম তার ছেলে আবুল হাসানকে বিদেশ পাঠানোর জন্য কয়েকটা এনজিও থেকে কিস্তি নেওয়া সহ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বছর চুক্তি টাকা নিয়ে ছেলেকে কাতার পাঠায়। একে একে কয়েকটা বছর কেটে গেলেও পরিবারে সুখের দেখা মেলেনি আবুল হাসানের।
আবুল কাশেম চাকরি চলাকালীন অবস্থায় পরিবার নিয়ে থাকার জন্য কুঁড়েঘরের মতো একটি মাটির ঘর ছিলো। ফেনীতে হঠাৎ ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কবলে পড়ে ভেঙে গুরিয়ে যায় মাটির ঘরটি।
বন্যায় ঘর ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই একটু সহযোগিতা পাওয়ার আশায় বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করে আসছে আবুল কাশেম। বিভিন্ন জায়গা থেকে খুব সামান্য কিছু সহযোগিতা পেলেও ঘর করার মতো মোটামুটি বড় ধরনের কোনো সহযোগিতা পায়নি আবুল কাশেম। এখনো পর্যন্ত ভেঙে যাওয়া ঘরে পরিবার নিয়ে পড়ে আছে আবুল কাশেম। বন্যায় ভেঙে যাওয়া ঘর নতুন ভাবে গড়ে তোলার জল্পনা কল্পনা ও একটু সহযোগিতার পাওয়ার অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে আবুল কাশেম।